বিডি ল নিউজঃ ২০২০ সালের মধ্যে স্বর্ণের আন্তর্জাতিক দর ২৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যতম ভোক্তা দেশ চীনের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ডলারের অবনমন এ সময় ধাতুটির দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ স্বর্ণ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান নিউমন্ট মাইনিং করপোরেশন সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায়।
প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রে গোল্ডবার্গ জানান, স্বল্পমেয়াদে স্বর্ণের বাজার অস্থির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আসছে বছরগুলোয় ধাতুটির দাম বাড়বে। ২০১৭ সালে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ২০০ ডলারে লেনদেন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর গ্রিনউড ভিলেজভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি চলতি দশক শেষে দাম বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৫০০ ডলারে বিক্রির প্রত্যাশা করছে। গোল্ডবার্গ জানান, চীনে স্বর্ণের চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে। দেশটির মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে স্বর্ণ কিনে থাকে। এছাড়া স্বর্ণের তৈরি গহনারও কদর বাড়ছে ব্যাপক হারে। এর প্রভাব বাজারেও পড়বে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল কমেছে স্বর্ণের দাম। নিউইয়র্ক কোমেক্সে জুনে সরবরাহের জন্য প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে এদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭৫ ডলারে। স্পট মার্কেটে একই পরিমাণ ধাতুর দাম ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে এদিন বিক্রি হয় ১ হাজার ১৭৯ ডলারে। স্বর্ণের পাশাপাশি কমতির দিকে রয়েছে রুপা ও প্লাটিনামের দাম। গতকাল নিউইয়র্ক কোমেক্সে জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে আউন্সপ্রতি রুপার দাম দশমিক ১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৫ ডলার ৬৮ সেন্টে লেনদেন হয়। এছাড়া স্পট মার্কেটে একই পরিমাণ প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ১১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১২৪ ডলার ২৫ সেন্টে বিক্রি হয়।
গোল্ডবার্গ আরো জানান, বর্তমানে ডলারের মানবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে স্বর্ণের দামে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কয়েক বছরের মধ্যে ডলারের মান বেড়ে সর্বোচ্চে পৌঁছার পর তা আবার নিম্নমুখী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি, যা স্বর্ণের দাম বাড়াতে সহায়তা করবে।”প্রিয়
Discussion about this post