বর্তমানে নিম্ন আদালতে ৩৮৩টি বিচারকের পদ শূন্য রয়েছে। লাখ লাখ মামলার জট কমানো এবং দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে এসব শূন্য পদে দ্রুত বিচারক চান প্রধান বিচারপতি। পাশাপশি নিম্ন আদালতে বর্তমানে থাকা ১৫শ’ বিচারকের সংখ্যা দ্বিগুণ করার দাবিও তার।
এদিকে শিগগিরই সহকারী জজ পদে ১০০ জনের নিয়োগ আসছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় সূত্র।
ইতোমধ্যে জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদে (সহকারী জজ) নবম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা-২০১৪ এর লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীণ ৪১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার পর ১০০ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চারটি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্প্রতি বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে বলেছেন, ‘১৩০০ বিচারক দ্বারা ২৭ লক্ষাধিক মামলা নিষ্পত্তি করা অসম্ভব। তাছাড়া প্রতিদিন নতুন মামলা দায়ের হচ্ছে। সংগত কারণে বর্তমানে শূন্য ৩৮৩টি পদে দ্রুত বিচারক নিয়োগ দেওয়া আবশ্যক। তাছাড়া কমপক্ষে বিচারক সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে হবে’।
‘নিম্ন আদালতের ১৫০০ বিচারকের মধ্যে অনেক বিচারককে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইত্যাদি জায়গায় প্রেষণে নিয়োগ দিতে হয়। ফলে বিচারকের স্বল্পতায় বিচারকার্য বিলম্ব হয়। আশা করি, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আইন কর্মকর্তা ও আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করবে, যাতে করে ওই সকল কর্মকর্তাকে দ্রুত প্রত্যাহার করে মাঠ পর্যায়ে পদায়ন করা যায়। এতে বিচার নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়ে যাবে’।
শুধু প্রধান বিচারপতিই নন, সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হকও মামলাজট কমাতে বিচারক নিয়োগের ওপর তাগিদ দিয়েছেন।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার পর ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী জেলা জজ আদালত পরিদর্শনে যান। এসব আদালতের বিভিন্ন মামলার ওপর গবেষণা করে প্রত্যেকবারই মামলাজট কমাতে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেন।
সর্বশেষ রাজশাহী জেলার প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বিরাজমান বিপুল মামলাজট সংক্রান্ত সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ন্যূনতম পাঁচ হাজার বিচারক এই মুহূর্তে নিয়োগ প্রয়োজন বলে আইন কমিশন মনে করে।
Discussion about this post