বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দু’টি চেকের মাধ্যমে এ অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী।
তিনি জানান, বরখাস্ত হওয়া বরিশাল নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. জিল্লুর রহমান উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদের কাছে চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।
উপ-কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদ জানান, সোনালী ব্যাংক ও ব্রাক ব্যাংকের পৃথক দু’টি হিসেবের বিপরীতে ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকার দু’টি চেক দিয়েছেন জিল্লুর রহমান।
আগামী রোববার (৫ জুলাই) চেক দু’টি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে পুলিশের খোলা যৌথ হিসেবে জমা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (১ জুলাই) সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন মো. জিল্লুর রহমান। একইসঙ্গে বরিশাল থেকে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয় তাকে।
এদিকে যাদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তা তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আবু সালেহ মো. রায়হানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের আরআই জাফর আহমেদ ও সুবেদার (ফোর্স) তাপস রায়।
পরীক্ষা দিয়েও পদোন্নতি না পাওয়া ২৩০ জন পুলিশের কাছ থেকে ৭৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন দশ পুলিশ সদস্য ও উপ-কমিশনার জিল্লুর।
অভিযুক্ত দশ পুলিশের মধ্যে এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবির হোসেন ও ড্রাইভার বাবলু জমাদ্দারের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ লাখ টাকা রাখা হয়। বাকি টাকা উপ-কমিশনার জিল্লুরের কাছে রাখা হয় বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়।
এ ঘটনা ফাঁস হলে পুলিশের হেডকোয়ার্টার ও বিএমপি দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
হেডকোয়ার্টারের রিপোর্টে দশ পুলিশ সদস্য ও উপ-পুলিশ কমিশনারের অবৈধ অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি প্রকাশিত হলে গত ২৯ জুন দশ পুলিশকে বরখাস্ত করে হেডকোয়ার্টার। পরবর্তীতে বুধবার বিকেলে উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুরকে বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।
Discussion about this post