আট বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের কারেন ওই শিশুর মা মিনারা বেগম।
গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. দলিল উদ্দিন অভিযোগটি কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কাশিয়ানীর সাফলিডাঙ্গা গ্রামের একটি ভবনে বাদী তার সাড়ে ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। একই ভবনের অন্য একটি রুমে জনৈক ফরাদ নামে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। সেখানে প্রায়ই কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজ মদ-গাঁজা সেবন করতো। ঘটনার দিন গত ২৮ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে ঘর ছেড়ে ফরাদ বাইরে যান। এই ফাঁকে ওই শিশুটিকে ডেকে কাছে নেয় অভিযুক্ত। এক পর্যায়ে শিশুটিকে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খুঁজতে ফরাদের রুমে গেলে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন বলে বাদী তার আর্জিতে উল্লেখ করেন।
লোক লজ্জার ভয়ে ও অভিযুক্ত এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা চলায় ঘটনার ২৬ দিন পর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বাদী।
এদিকে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা হওয়ায় তার এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাঁজা নেওয়াজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকার একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে সমাজে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সঠিক তদন্ত হলে তিনি এ অভিযোগ থেকে রেহাই পাবেন।
Discussion about this post