আদালত অবমাননা কি
মনে রাখবেন আদালত অবমাননার আইনে, আপনি আদালত অবমাননা করতে চেয়েছিলেন কি না, সেটা অপ্রাসঙ্গিক। রিপোর্টিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের বিধি-নিষেধ আছে, যার অনেক বিষয় সব সময় প্রযোজ্য আর কতগুলো বিষয় আদালত তার নিজ ক্ষমতাবলে আরোপ করে।
আদালত অবমাননার সংজ্ঞা
আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩( ২০১৩ সনের ৪ নং আইন ) আদালত অবমাননা আইন হচ্ছে এক গুচ্ছ আইন যেগুলো আদালতের কার্যক্রমের বিশুদ্ধতাকে বাইরের কোন প্রভাব থেকে রক্ষা করে তকে আদালত অবমাননা আইন বলা হয়।যখনি কোন মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বা তা ‘চলমান’ বলে গণ্য হবে, তখনি যা কিছু মামলার কার্যক্রমকে পক্ষপাতদুষ্ট করে তুলতে পারে বা ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত করার ঝুঁকি বহন করে, সেগুলো আদালত অবমাননা হবে।
আদালত অবমাননা মামলাঃ-
কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপিত বা কার্যধারা রুজু করা হইলে, অভিযোগের বিষয়ে তাহাকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিতে হইবে এবং আদালতের নিকট কারণ দর্শাইবার জবাব সন্তোষজনক হইলে, তাহাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে হইবে, এবং জবাব সন্তোষজনক না হইলে তাহাকে উক্ত ব্যক্তির নিয়োজিত আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিত হইবার এবং বক্তব্য প্রদানের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, এবং কার্যধারার কোন পর্যায়ে যদি আদালত মনে করে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে অবমাননাকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি আবশ্যক, তাহা হইলে আদালত তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হইয়া বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, যদি কোন ব্যক্তি আইনজীবী নিয়োগ না করিয়া স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইয়া বক্তব্য প্রদান করিতে বা মামলা পরিচালনা করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে আদালত তাহাকে অনুরূপ সুযোগ প্রদান করিবে।
আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতির অভিযোগের সমর্থনে সাক্ষ্য গ্রহণ করিবে এবং তাহাকে শুনানি ও সাক্ষ্যদানের সুযোগ প্রদান করিয়া আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয় নির্ধারণ করিবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ শাস্তির আদেশ অথবা অভিযোগ হইতে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করিবে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপিত বা কার্যধারা রুজু করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি তাহার নিয়োজিত আইনজীবী দ্বারা মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি আইনজীবী নিয়োগসহ আদালত অবমাননা মামলা পরিচালনার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ সরকারী খাত হইতে অগ্রীম গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি আদালত অবমাননার অভিযোগ হইতে অব্যহতি লাভ করিলে অগ্রীম হিসেবে গৃহীত অর্থ সরকারকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে অগ্রীম হিসেবে গৃহীত সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি অগ্রীম হিসেবে গৃহীত সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান না করিলে উহা তাহার প্রাপ্য গ্রাচ্যুইটি হইতে এককালীন আদায় করা হইবে এবং গ্রাচ্যুইটি হইতে আদায়ের পরও গ্রহীত অগ্রীম বকেয়া থাকিলে ইহা তাহার পেনশন বা পারিবারিক পেনশন হইতে সমম্বয়যোগ্য হইবে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের কর্মের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন কার্য বা দায়িত্ব পালন কালে আদালত অবমাননার মামলায় জড়িত থাকা অবস্থায় প্রজাতন্ত্রের কর্ম হইতে অপসারিত, অবসরপ্রাপ্ত বা অন্য কোনভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে তাহার স্থায়ীভাবে কর্মাবসান হইলে, আদালত উক্ত ব্যক্তিকে আদালত অবমাননার দায় হইতে অব্যহতি প্রদান করিতে পারিবে।
উপ-ধারা (৬) এ বর্ণিত পদে পরবর্তীতে স্থলাভিষিক্ত কোন ব্যক্তিকে (successor-in-office) পুনরায় কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান না করিয়া তাহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন বা কার্যধারা রুজু করা যাইবে না অথবা পূর্বসুরীর (predecessor-in- office) বিরুদ্ধে চলমান আদালত অবমাননার কার্যধারা বা দায় সরাসরি আরোপ করা যাইবে না।
আদালত অবমাননার শাস্তিঃ-
এই আইনের অধীন আদালত অবমাননার জন্য কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অবমাননা সম্পর্কিত চলমান কার্যধারা যে কোন পর্যায়ে অভিযুক্ত আদালত অবমাননাকারী আদালতের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এবং আদালত যদি এইমর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত অভিযুক্ত আদালত অবমাননাকারী নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হইয়া শাস্তিপ্রাপ্ত হইবার পর কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক দায়েরকৃত আপীলে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিলে, আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি অনুতপ্ত হইয়া আন্তরিকভাবে উক্তরুপ ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত তাহাকে ক্ষমা করিয়া তাহার উপর আরোপিত দণ্ড মওকুফ বা হ্রাস করিতে পারিবে।
আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,কোন আদালত উহার নিজের বা উহার অধস্তন কোন আদালতের অবমাননার জন্য উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শাস্তির অতিরিক্ত শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।
যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি দেওয়ানী অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, কেবল অর্থদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হইবে না বরং উহার সহিত কারাদণ্ড প্রদান করা আবশ্যক, তাহা হইলে আদালত বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের পরিবর্তে তাহাকে অনূর্ধ্ব ছয় মাস দেওয়ানী কারাগারে আটকের নির্দেশ প্রদান করিবে।
সুপ্রীম কোর্টে সংঘটিত আদালত অবমাননাঃ-
যেক্ষেত্রে আপীল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগের নিকট প্রতীয়মান হয় বা উহার নিকট অভিযোগ করা হয় যে, কোন ব্যক্তি আদালত কক্ষে কোন মামলার শুনানিকালে আদালত অবমাননা করিয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করিতে পারিবে, এবং আদালতের উক্ত দিনের বৈঠক শেষ হইবার পূর্বে বা যত শ্রীঘ্র সম্ভব তৎপরবর্তীতে -আদালত অবমাননার যে অভিযোগ তাহাকে অভিযুক্ত করা হইয়াছে তাহা লিখিতভাবে তাহাকে জানাইবে এবং তাহাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে । উক্ত ক্ষেত্রে, যথাসম্ভব, ধারা ১১ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারার অধীন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি, বিচারক বা বিচারকগণের সম্মুখে বা শুনানিকালে উক্ত আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছেন তাঁহারা ব্যতীত, অন্য কোন বিচারক কর্তৃক বিচার কার্য পরিচালনার জন্য মৌখিক বা লিখিতভাবে আবেদন করে, তাহা হইলে উক্ত আদালত ঘটনার প্রকৃত বিবরণসহ সামগ্রিক বিষয়টি বিবেচনা এবং যথোপযুক্ত আদেশ প্রদানের জন্য প্রধান বিচারপতির নিকট লিখিত বিবৃতি আকারে উপস্থাপন করিবে।
অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার চলাকালে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে, যে বিচারক বা বিচারকগণের সম্মুখে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে উক্ত বিচারক বা বিচারকগণ ব্যতীত, অন্য কোন বিচারকের আদালতে শুনানী অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রধান বিচারপতির নিকট প্রদত্ত বিবৃত্তি সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত বিচারকের ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইবার প্রয়োজন হইবে না।
আপীল দায়েরের সময়সীমাঃ-
এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে পারিবে ।
হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতাঃ-
উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন অধস্তন আদালতের অবমাননা সংক্রান্ত কোন অভিযোগের বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের থাকিবে। Penal Code (XLV of 1860) এর অধীন শাস্তিযোগ্য আদালত অবমাননা কোন অধস্তন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত আদালত অবমাননা বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।
আদালত অবমাননা এবং রিপোর্টিং- বিধি-নিষেধঃ-
এই আইনের প্রধান লক্ষ্য গুলোর অন্যতম হচ্ছে, এমন কোন সংবাদ প্রকাশ করতে না দেয়া যেটা জুরিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ সম্পর্কে প্রভাবিত করতে পারে, যেটা ন্যায় বিচারের প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিচার শুরুর আগে কোন সাক্ষীর সাক্ষাৎকার নেয়া বা বিচারের পরেও সাক্ষাৎকার দেবার জন্য সাক্ষীর ওপর চাপ প্রয়োগ করাটাও আদালত অবমাননা আইনের লঙ্ঘন।
আপনি আদালতের অবমাননা করতে চেয়েছিলেন কি না, তা প্রাসঙ্গিক নয়ঃ-
এই নিয়মগুলো রাষ্ট্রের আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগকারী সকল আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অবমাননার সব চেয়ে বেশি ঝুঁকি আসে যখন মামলার শুনানি শুনছেন সাধারণ জুরিরা – যেমন, ফৌজদারি মামলায়।রিপোর্টিং-এ বিধি-নিষেধ – আমি কী রিপোর্ট করতে পারবো?কোন কোন আইন নির্দিষ্ট কিছু মামলা এবং শুনানির রিপোর্টিং-এ কী বলা যাবে বা যাবে না, সে বিষয়েও বিধি-নিষেধ আরোপ করে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রিপোর্টিং-এর ওপর বিধি-নিষেধ তুলে নেবার এখতিয়ার আদালতের আছে।
রিপোর্টিং-এর ওপর কয়েক ধরণের সম্ভাব্য বিধি-নিষেধ থাকে, যার কতগুলো সব সময় প্রযোজ্য আর কতগুলো আদালত তার নিজ ক্ষমতাবলে আরোপ করে। কাজেই, আপনি যে মামলা রছেন সেই মামলার ব্যাপারে বিধি-নিষেধ কী রকম, সব সময় সেটা জেনে নেয়া উচিত।
নির্দেশনাঃ-
আদালতের নাম
বিচারকদের নাম, যারা মামলাটি দেখছেন
অভিযোগের সারমর্ম
অভিযুক্ত এবং সাক্ষীদের নাম, ঠিকানা, বয়স এবং পেশা।
যে সকল আইনজীবী মামলায় জড়িত আছেন এবং জামিন সংক্রান্ত তথ্য।
যদিও এই নিয়মগুলো আপনি কী রিপোর্ট করতে পারেন তা সীমিত করে দিচ্ছে, কিন্তু আপনি যদি এই মামলা পর্যবেক্ষণ করতে চান, তাহলে শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কোন বিধি-নিষেধ নেই।
আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে সচেতনতাঃ-
ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে, ১৮ বছরের কম বয়স্ক অভিযুক্তদের সাধারণত যুব আদালতে নেয়া হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ কোন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে যুব আদালতের সামনে আসলে তাদের পরিচয় প্রকাশ করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সব সময় বহাল আছে।আপনি যদি যুব আদালতের কার্যক্রম রিপোর্টিং-এ নিয়োজিত থাকেন, তাহলে আপনি কখনোই এগুলো প্রকাশ করতে পারবেন না:
অভিযুক্তদের নাম।
তাদের ঠিকানা।
তাদের স্কুল।
তাদের ছবি বা অন্য কোন ছবি।
অন্য যেকোনো জিনিস যেগুলো মামলার সাথে জড়িত অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে সনাক্ত বা চিহ্নিত করতে পারে।
অন্যান্য আদালতে এরকম অটোম্যাটিক কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে আদালত নিজ ক্ষমতা বলে মামলায় সংশ্লিষ্ট কোন শিশুর পরিচয় গোপন রাখার জন্য নির্দেশ দিতে পারে।বেশির ভাগ যৌন অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে আইন সরাসরি অপরাধের শিকার ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখার ব্যবস্থা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হয় যেই মুহূর্তে যৌন অপরাধের শিকার অভিযোগ দায়ের করেন, বা তাদের পক্ষ হয়ে অন্য কেউ অভিযোগ করেন যে তারা যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা পুরো জীবনের জন্য প্রযোজ্য।
লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com, মোবাইল: 01842459590.
Discussion about this post