যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৬০ হাজার আইনজীবীদের জীবন-জীবিকার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতের নিয়মিত কোর্ট চালু করে দিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
৬০ হাজার আইনজীবীর পক্ষে রোববার (২১ জুন) দুপুরে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী এই আবেদন করেণ।
আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত তিন মাস আইনজীবীরা নিয়মিত কোর্ট করতে না পারায় অধিকাংশ আইনজীবী চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সরকার ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ আইনজীবীর প্রশিক্ষণ না থাকায় ও ইন্টারনেট সুবিধার অভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা করতে পারছেন না। অধিকাংশ আইনজীবীর সঞ্চিত টাকা নেই।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বাবার সামনে সন্তানের কান্না করোনায় মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর। তাই অধিকাংশ আইনজীবী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত কোর্ট চালুর পক্ষে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত কোর্ট না থাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, যাদের আপিল দায়রা জজ আদালতে এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন, তারা আইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। হাজার হাজার আসামি পলাতক, তারা আইনের আশ্রয় লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ফেরারি জীবন-যাপন করছেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ব্যতীত অন্য কোনো আইনে নতুন কোনো মামলা ফাইলিং হচ্ছে না। এ অবস্থায় আইনজীবীদের মাঝে মারাত্মক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।’
‘করোনা একটি দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক সমস্যা। কোভিড- ১৯ কতদিন স্থায়ী হবে তা কেউই জানে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মানব জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে করোনা মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হবে। প্রয়োজন সচেতনতা ও সাবধানতা। জীবন তো আর থেমে থাকতে পারে না এবং জীবিকা ছাড়া জীবন অচল,’ বলা হয় আবেদনে।
Discussion about this post