সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুমানোর আগ মুহূর্তে যদি এখন বাংলাদেশের আইন-আদালত নিয়ে কোন আপডেট জানার প্রয়োজন হয় তবে সবার আগে চোখে পড়বে আর্তনাদ। গত ৭ দিন ধরে একনাগাড়ে দেখা যাচ্ছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মানববন্ধন, কখনোবা অনশন আবার কখনো কখনো তাদের ভারী হওয়া কন্ঠের সাথে চোখের জল। তাদের দাবী একটাই এবং এর নাম “সনদ”। অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে, “একটা সনদের এমন কি প্রয়োজন যার জন্য রাস্তায় নামতে হবে?” অনেকের কাছে এই প্রশ্ন নতুন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই বেশ পুরান। পার্থক্য হচ্ছে, সড়কে নামার আগে অনেকেই এই সনদ সম্পর্কে জানতনা এবং তাদের বিপরীতে একদল এই সনদের গুরুত্ব বুঝে তা আদায়ের জন্য আজ রাস্তায়।
আইনজীবী সনদ লাভের পেছনে সাধারণত ২টি কারণ থাকে,
প্রথমতঃ আইনজীবী হিসেবে নিজের পরিচয়।
দ্বিতীয়তঃ আইনপেশায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করার জন্য।
আইনজীবী হওয়ার পুর্বশর্ত হচ্ছে একজন ব্যাক্তিকে দুই বছর কিংবা চার বছর মেয়াদী আইন বিষয়ের উপর ডিগ্রী থাকতে হবে। তারপর ৬ মাস একজন সিনিয়র আইনজীবীর সাথে প্রাক্টিস করবে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর ধরে আইনজীবী হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আইনের ডিগ্রী হাতে পাওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যখন কোন সিনিয়রের অধীনে কাজ করে তখন তাকে বলা হয় শিক্ষানবীশ আইনজীবী। শিক্ষানবীশ আইনজীবী থেকে পরিপূর্ণ আইনজীবী হওয়ার ঠিক মাঝামাঝি অবস্থানের নাম “বার কাউন্সিল পরীক্ষা”। আর ঠিক এই মাঝামাঝি অবস্থানের বলি হতে হচ্ছে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের। কারণ, এই পরীক্ষায় পাশ করলেই কেবল আইনজীবী হিসেবে নিজের পরিচয় বহন করা যায়। তবে এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয় ৩টি ধাপেঃ
১) প্রিলিমিনারী
২) লিখিত
৩) ভাইবা
নিয়মানুসারে এই পরীক্ষা বছরে দুইবার হওয়ার কথা, সম্ভব না হলে অন্তত একবার। কিন্তু বর্তমানে দুটি পরীক্ষার মাঝামাঝি সময় ২-৩ বছর।
এত দীর্ঘ সমইয়ের বিরতির ফলে আইন ডিগ্রীধারীদের যে চাপ সৃষ্টি হয় এবং এর ফল কতটা বেদনাদায়ক হতে পারে তা নিয়েই মূলত লেখাটির তৈরি। কারণ সাধারণত অনেকেই “আইনজীবী সনদ” এর মর্ম না বুঝার কারণে কিংবা আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের করুন আর্তনাদ অনুধাবন করতে না পারায় প্রায়ই তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে থাকেন এবং ব্যাক্তিগত আঘাত হানে এমন মন্তব্য ও করে বসেন। কিন্তু এটা নির্মম এক বাস্তবতা যে একজন ডিগ্রিধারী দীর্ঘ সময় ব্যায়ে ডিগ্রী অর্জন স্বত্তেও নিয়মিত পরীক্ষার অভাবে তার কাঙ্খিত রাস্তায় পৌছতে পারছেনা। এই বিষয়টাকে আপনারা যারা হাস্যরস হিসেবে নিচ্ছেন, ধরুনঃ আপনার ঘরে খাবার দরকার,তাই বাইরে থেকে খাবার এনে তারপর ঘরের সকলের অন্নের চাহিদা মেটাতে হবে। আপনার হাতে টাকাও আছে এবং দোকানে যাতায়াতের জন্য যানবাহনও আছে কিন্তু, আপনাদের এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কোন দোকান খুলেনা এমনকি যেই রাস্তা দিয়ে দোকানে যাবেন সেই রাস্তাটিও যাতায়াত উপযোগী নয়। এখন আপনি চাইলেই কি আপনার পরিবারের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারবেন? যেখানে অন্য এলাকায় সব স্বাভাবিক চলছে সেখানে আপনার বেলায় যদি এমন হয় তবে কেমন লাগবে কখনো ভেবছেন ?
ঠিক একিভাবে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের ক্ষেত্রেও খাদ্যের যায়গায় দরকার সনদ, যানবাহনের মত তাদেরর আছে ডিগ্রি। কিন্তু দোকানে যাওয়ার রাস্তার মত অবস্তায় ভবিষ্যত এবং দোকানের অনির্দিষ্ট সময়ের মত অনির্দিষ্ট হয়ে আছে বার কাউন্সিল পরীক্ষার সময়। অন্যান্ন এলাকার সময়ের নির্দিষ্টতার মত অন্যান্ন সেক্টরের পরীক্ষাগুলো ও হচ্ছে সময়মত। যেমনঃ বি.সি.এস, এম.বি.বি.এস., বি.জে.এস., ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বা অন্যান্ন পরীক্ষাগুলো। তবুও আইনজীবী সনদের জন্য নির্ধারিত এই গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষাটি কেন সময়মত হচ্ছে না? রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হচ্ছেন আইনজীবীগণ, অথচ একজন নাগরিক যদি রাষ্ট্রে তার অবস্থান প্রথম করার জন্য যৌক্তিক আন্দোলন করে তাহলে কেন তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ? পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন রইল। সময়মত পরীক্ষার দাবী প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ না থাকলেও প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায় বার কাউন্সিল ,কারণ কেন সময়মত পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হতে হচ্ছে সংস্থাটি?
একজন শিক্ষার্থী যখন অনার্সে ভর্তীর সময় নিজ পছন্দে সাব্জেট হিসেবে ল’ সেলেক্ট করে তখন একজন ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারের হওয়ার স্বপ্নের মত একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হিসেবে নিজের স্বপ্নবীজ বুনতে শুরু করে । কিন্তু বীজগুলো বৃক্ষে রুপান্তরিত হওয়ার সময় যখন অনির্দিষ্ট হয়ে পড়ে তখন স্বপ্নগুলোও দিশেহারা হয়ে পড়ে। একজন স্বপ্নবাজ কে যখন চার বছরের দীর্ঘ সময় শেষে আইন বিষয়ের উপর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও যদি ৩-৫ বছর অপেক্ষা করতে হয় তাহলে একজন স্বপ্নবাজ কতোটা যন্ত্রনা বয়ে চলছে তা হয়ত কিছুটা হলেও আঁচ করা সম্ভব। কারণ এই দীর্ঘ বেকার সময়টাতে একজন শিক্ষার্থীকে সামাজিকভাবে যেমন ছোট করে তুলে তেমনি ভোগায় হীনমন্যতায়। এভাবেই হয়ত নষ্ট হয় একেকটি উজ্জ্বল স্বপ্ন ও একটি উজ্জ্বলশদের দল?
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুমানোর আগ মুহূর্তে যদি এখন বাংলাদেশের আইন-আদালত নিয়ে কোন আপডেট জানার প্রয়োজন হয় তবে সবার আগে চোখে পড়বে আর্তনাদ। গত ৭ দিন ধরে একনাগাড়ে দেখা যাচ্ছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মানববন্ধন, কখনোবা অনশন আবার কখনো কখনো তাদের ভারী হওয়া কন্ঠের সাথে চোখের জল। তাদের দাবী একটাই এবং এর নাম “সনদ”। অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে, “একটা সনদের এমন কি প্রয়োজন যার জন্য রাস্তায় নামতে হবে?” অনেকের কাছে এই প্রশ্ন নতুন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই বেশ পুরান। পার্থক্য হচ্ছে, সড়কে নামার আগে অনেকেই এই সনদ সম্পর্কে জানতনা এবং তাদের বিপরীতে একদল এই সনদের গুরুত্ব বুঝে তা আদায়ের জন্য আজ রাস্তায়।
আইনজীবী সনদ লাভের পেছনে সাধারণত ২টি কারণ থাকেঃ
প্রথমতঃ আইনজীবী হিসেবে নিজের পরিচয়।
দ্বিতীয়তঃ আইনপেশায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করার জন্য।
আইনজীবী হওয়ার পুর্বশর্ত হচ্ছে একজন ব্যাক্তিকে দুই বছর কিংবা চার বছর মেয়াদী আইন বিষয়ের উপর ডিগ্রী থাকতে হবে। তারপর ৬ মাস একজন সিনিয়র আইনজীবীর সাথে প্রাক্টিস করবে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর ধরে আইনজীবী হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আইনের ডিগ্রী হাতে পাওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যখন কোন সিনিয়রের অধীনে কাজ করে তখন তাকে বলা হয় শিক্ষানবীশ আইনজীবী। শিক্ষানবীশ আইনজীবী থেকে পরিপূর্ণ আইনজীবী হওয়ার ঠিক মাঝামাঝি অবস্থানের নাম “বার কাউন্সিল পরীক্ষা”। আর ঠিক এই মাঝামাঝি অবস্থানের বলি হতে হচ্ছে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের। কারণ, এই পরীক্ষায় পাশ করলেই কেবল আইনজীবী হিসেবে নিজের পরিচয় বহন করা যায়। তবে এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয় ৩টি ধাপেঃ
১) প্রিলিমিনারী
২) লিখিত
৩) ভাইবা
নিয়মানুসারে এই পরীক্ষা বছরে দুইবার হওয়ার কথা, সম্ভব না হলে অন্তত একবার। কিন্তু বর্তমানে দুটি পরীক্ষার মাঝামাঝি সময় ২-৩ বছর
এত দীর্ঘ সমইয়ের বিরতির ফলে আইন ডিগ্রীধারীদের যে চাপ সৃষ্টি হয় এবং এর ফল কতটা বেদনাদায়ক হতে পারে তা নিয়েই মূলত লেখাটির তৈরি। কারণ সাধারণত অনেকেই “আইনজীবী সনদ” এর মর্ম না বুঝার কারণে কিংবা আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের করুন আর্তনাদ অনুধাবন করতে না পারায় প্রায়ই তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে থাকেন এবং ব্যাক্তিগত আঘাত হানে এমন মন্তব্য ও করে বসেন। কিন্তু এটা নির্মম এক বাস্তবতা যে একজন ডিগ্রিধারী দীর্ঘ সময় ব্যায়ে ডিগ্রী অর্জন স্বত্তেও নিয়মিত পরীক্ষার অভাবে তার কাঙ্খিত রাস্তায় পৌছতে পারছেনা। এই বিষয়টাকে আপনারা যারা হাস্যরস হিসেবে নিচ্ছেন, ধরুনঃ আপনার ঘরে খাবার দরকার,তাই বাইরে থেকে খাবার এনে তারপর ঘরের সকলের অন্নের চাহিদা মেটাতে হবে। আপনার হাতে টাকাও আছে এবং দোকানে যাতায়াতের জন্য যানবাহনও আছে কিন্তু, আপনাদের এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কোন দোকান খুলেনা এমনকি যেই রাস্তা দিয়ে দোকানে যাবেন সেই রাস্তাটিও যাতায়াত উপযোগী নয়। এখন আপনি চাইলেই কি আপনার পরিবারের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারবেন? যেখানে অন্য এলাকায় সব স্বাভাবিক চলছে সেখানে আপনার বেলায় যদি এমন হয় তবে কেমন লাগবে কখনো ভেবছেন ?
ঠিক একিভাবে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের ক্ষেত্রেও খাদ্যের যায়গায় দরকার সনদ, যানবাহনের মত তাদেরর আছে ডিগ্রি। কিন্তু দোকানে যাওয়ার রাস্তার মত অবস্তায় ভবিষ্যত এবং দোকানের অনির্দিষ্ট সময়ের মত অনির্দিষ্ট হয়ে আছে বার কাউন্সিল পরীক্ষার সময়। অন্যান্ন এলাকার সময়ের নির্দিষ্টতার মত অন্যান্ন সেক্টরের পরীক্ষাগুলো ও হচ্ছে সময়মত। যেমনঃ বি.সি.এস, এম.বি.বি.এস., বি.জে.এস., ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বা অন্যান্ন পরীক্ষাগুলো। তবুও আইনজীবী সনদের জন্য নির্ধারিত এই গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষাটি কেন সময়মত হচ্ছে না? রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হচ্ছেন আইনজীবীগণ, অথচ একজন নাগরিক যদি রাষ্ট্রে তার অবস্থান প্রথম করার জন্য যৌক্তিক আন্দোলন করে তাহলে কেন তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ? পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন রইল। সময়মত পরীক্ষার দাবী প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ না থাকলেও প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায় বার কাউন্সিল ,কারণ কেন সময়মত পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হতে হচ্ছে সংস্থাটি?
একজন শিক্ষার্থী যখন অনার্সে ভর্তীর সময় নিজ পছন্দে সাব্জেট হিসেবে ল’ সেলেক্ট করে তখন একজন ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারের হওয়ার স্বপ্নের মত একজন স্বনামধন্য আইনজীবী হিসেবে নিজের স্বপ্নবীজ বুনতে শুরু করে । কিন্তু বীজগুলো বৃক্ষে রুপান্তরিত হওয়ার সময় যখন অনির্দিষ্ট হয়ে পড়ে তখন স্বপ্নগুলোও দিশেহারা হয়ে পড়ে। একজন স্বপ্নবাজ কে যখন চার বছরের দীর্ঘ সময় শেষে আইন বিষয়ের উপর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও যদি ৩-৫ বছর অপেক্ষা করতে হয় তাহলে একজন স্বপ্নবাজ কতোটা যন্ত্রনা বয়ে চলছে তা হয়ত কিছুটা হলেও আঁচ করা সম্ভব। কারণ এই দীর্ঘ বেকার সময়টাতে একজন শিক্ষার্থীকে সামাজিকভাবে যেমন ছোট করে তুলে তেমনি ভোগায় হীনমন্যতায়। এভাবেই হয়ত নষ্ট হয় একেকটি উজ্জ্বল স্বপ্ন ও একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত ।
বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় সাধারানত প্রচুর নিউজ শেয়ার হয়, মন্তব্যের অপশন থাকায় অনেকেই নানা ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। তবে সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয়টি হচ্ছে যখন সেখানে কোন আইনজীবীর নেতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়ে। একজন আইনজীবী একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর অভিভাবকের মতন। সেখানে যদি কোন আইনজীবী শিক্ষানবিশদের এই দুর্দিনে পাশে না থেকে বরং নেতিবাচক মন্তব্য করে তবে তা সত্যি ই খুব হতাশার বিষয়। একজন আইনজীবীর এরূপ নেতিবাচক মন্তব্যে তার দুইটি বিষয় খুব স্পষ্টঃ
১) নতুন আইনজীবীর সংখ্যা বাড়লে মেধার প্রতিযোগীতার ভয়।
২) তার ধারণা একজন শিক্ষানবীশ আজীবন সিনিয়রের ফাইল টেনে হেয় হবে।
একজন আইনজীবীর নেতিবাচক মন্তব্য যে তার নেতি চিন্তারই প্রভাব সেকথা কারোই হয়ত বুঝতে বাকি নেই। তবে সার্বিক বিবেচনায় আইনজীবীদের ও উচিত হবে নতুনদের স্বাদরে বরণ করার মানসিকতা তৈরি করা।
শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের মধ্যে একেকজন একেক ধরণের পরিবার থেকে আসে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের সংখ্যাই এখানে বেশি। এদের অনেকেই আবার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করছে যা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। কিন্তু এতকিছুর পরেও যখন একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে বছরের পর বছর পরিচয়বিহীন সিনিয়রের ফাইল টানতে হয় এবং সারাদিন গাঁধাখাটুনি শেষে পারিশ্রমিক হিসেবে নামমাত্র কিছু সম্মানী পায়, যা দিয়ে হয়ত এক বেলার খাবার হয় বড়জোড়। একজন স্বপ্নবাজ মানুষকে যদি প্রতিনিয়ত এরকম তীক্ষ্ণ বাস্তবতার মধ্য দিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে আগাতে হয় তার ফল যে সমাজের জন্য ও ভালো হবেনা তা সবারি জানা আছে। হাজার হাজার মেধাবী আটকে আছে এই সময়ের দীর্ঘায়তনে। জানা নেই এর সমাধান,জানা নেই এর ভবিষ্যত।
শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বর্তমান অবস্থান যেন পরবর্তী আইনের শিক্ষার্থীদের সতর্ক করছে। যদি এমনিভাবে আগামীদিনগুলো অতিবাহিত হতে থাকে তাহলে হয়ত পরবর্তীতে কোন শিক্ষার্থী আর আইন পাঠ করে ডিগ্রী অর্জনের জন্য সময় ব্যয় করবেনা। ফলস্বরূপ আমরা বর্তমানে আদালত প্রাঙ্গনে নবীন আইনজীবীদের দ্বারা যেসব ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করেছিলাম ও আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের জ্ঞানার্জনে আগ্রহ দেখতে পেয়েছিলাম তা অচিরেই পূর্বের চিত্রে ফিরে যাবে। আদালত চত্বর ভরে উঠবে দালাল শ্রেণীর লোকে, সীমিত সংখ্যক আইনজীবী থাকার সুবিধা ভোগ করবে কিছু অসৎ ব্যাক্তিবর্গ এবং সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে ন্যায় বিচার থেকে।
বার ও বেঞ্চ একটি পাখির দুটি ডানা হিসেবে পরিচিত। তাই নবীন আইনজীবীরা যদি এত ত্যাগ স্বীকার করে তারপর পরিচয় অর্জন করে ততদিনে হয়ত তাদের সৎ ভাবনাগুলোতেও মরিচা ধরে যাবে। তাই সংলিষ্ঠদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব হয় শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং বিচার ব্যবস্থা অন্ধকারে বিলীন হওয়ার আগেই আলোকিত করা।
লেখকঃ মুবিন হাসান অয়ন
সদস্যঃ Progressive Lawyers Union of Shariatpur [PLUS]
Discussion about this post