লিখেছেন: ইমরান হোসেন, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
বাংলাদেশে একমাত্র স্বচ্ছ নির্বাচন বলতে বারের নির্বাচনকে বুঝায় তার প্রতিফলন ঘটলো ২০১৮ এর নির্বাচনও। সরকার সরাসরি চেষ্টা করেও কোন ভাবে ছিনিয়ে নিতে পারেনা কেবল মাত্র বারের নির্বাচন ফলাফল। সূপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনে সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ একটি সহ সম্পাদক ছাড়া বাকী সকল Office Bearer পদে বিএনপির নীল প্যনেল নিরংকুশ বিজয় লাভ করেছে।
সভাপতি-জয়নাল আবেদিন(নীল)=2469 ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন(সাদা)=2315, সহ সভাপতি, মো. গেলাম মোস্তফা (নীল)=2447, ড. গোলাম রহমান(নীল)=2246, সেক্রেটারি -ব্যারিস্টার মাহবুব উ. খোকন(নীল)=২৬৬০, শেখ মূ মোরশেদ(সাদা)=২১৭৫, ট্রেজারার-নাসরিন আক্তার (নীল)=২৪৭৬,ড. ইকবাল করিম (সাদা)= সহ সম্পাদক- কাজী জয়নাল (নীল)=২৩৬৫,আনজুমান আরা মুন্নী (নীল)=২৩২৩, আব্দুর রাজ্জাক(সাদা)=২৩৫১, ইয়াদিয়া জামান (সাদা)=, সদস্য পদে BNP জোট মোট ৪ টি এবং AL মোট ৩ টি পদ লাভ করে।
সব কিছু বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি সিনিয়র আইনজীবী গন সরকারকে বিশেষ ভাবে জানান দিলেন গনতন্ত্রকে নিজের মত করে চলতে দিলে সকলে শান্তি পায়। বিচারক বিচার করবেন আর সেটাকে স্বচ্চ ভাবে চালিকা শক্তি হলো আইনজীবীরা তা মনে হয় সরকার স্বীকার করতে নারাজ। যার ফলাফল দৃশ্যমান। শেষ কথা একটা যা বলে শেষ করছি-[হল রুম-১] সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে এক বিজ্ঞ আইনজীবী কাউকে ভোট না দিয়ে তার ব্যালট পেপারে লিখেছেন, “প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’কে ভোট দিলাম।” সমস্বরে বিকট হাসির রোল! অতঃপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটটি বাতিল করেন। সময় এখরনও আছে, সামনে নিবাচন, সরকারের বিগত আচরন জনগনকে ভাবিয়ে তুলছে।
Discussion about this post