বিডি ল নিউজঃ
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বসে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্ন করতে থানা পুলিশের সাথে কৌশলে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেছে তারা। পুলিশকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে সার্বক্ষণিক থানায় অবস্থান করে ওই সিন্ডিকেট।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের পাশে বসেই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ঊষা রাখাইন ও তার ‘কথিত’ স্বামী শাকিল। ইয়াবা ও হেরোইন সারা দেশে পাচার নির্বিঘ্ন করতে চিহ্নিত এই সিন্ডিকেটটি কৌশলে কক্সবাজার সদর থানাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ঊষা রাখাইন ও তার ‘কথিত’ স্বামী শাকিল সার্বক্ষণিক কক্সবাজার সদর থানায় অবস্থান করেন। মূলত পুলিশের নজরদারি ও অভিযানের খবর পেতেই এই কৌশল নিয়েছে মাদকের এই সিন্ডিকেটটি। তালিকাভুক্ত এই ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে থানার কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও জড়িত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ঊষা রাখাইন বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও হেরোইনসহ একাধিকবার পুলিশ, র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক হয়েছিলো। ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই মাদক ব্যবসায়ী ঊষা রাখাইন ও তার ‘কথিত’ স্বামী সৈয়দ মোঃ শাকিলের বাসা থেকে এক কেজির বেশি হেরোইন ও অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক হয়েছিল। ওই সময় মাদক ব্যবসা সিন্ডিকেটের আরো ২ সদস্যকে আটক করে র্যাব। আটক অপর দুইজন হলেন মার্ছেল রাখাইন (৩২) ও তপন মিত্র (৫০)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে শহরের বাজারঘাটার পূর্ব রাখাইন পাড়ার আঊষা রাখাইনের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে এক কেজি ৬০ গ্রাম হেরোইন, দুই রাউন্ড গুলি, একটি রামদা ও নগদ এক লাখ ৭০ হাজার চারশ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। শাকিল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
কক্সবাজার সদর থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শাকিল একজন মাদক ব্যবসায়ী সেটি থানার সবাই জানে।
তিনি আরো জানান, শাকিল এখন সার্বক্ষণিক থানার সিনিয়র অফিসারদের রুমেই বসে থাকে। সিনিয়র অফিসররা যদি তার সাথে এত সখ্যতা গড়ে তোলে, তাহলে তো পুলিশের আর কিছু করার থাকে না।
তিনি আরো জানান, শাকিল এখন সার্বক্ষণিক থানার সিনিয়র অফিসারদের রুমেই বসে থাকে। সিনিয়র অফিসররা যদি তার সাথে এত সখ্যতা গড়ে তোলে, তাহলে তো পুলিশের আর কিছু করার থাকে না।
কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার স্বীকার করেছেন, সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল প্রায়ই থানায় আসেন। তিনি সব সময় শাকিলকে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই জানেন। তবে শাকিল বা তার স্ত্রী মাদক ব্যবসায়ী কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন ওসি ফরিদ উদ্দিন।
সূত্রঃ পূর্ব পশ্চিম
Discussion about this post