ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করতে রিট

ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
‍উক্ত রিট আবেদনে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি, বিচার শুরুর পর থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচার চলার বিধান ও আদেশ কার্যকরের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে এ রিট আবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান রিটটি দায়ের করেন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট আবেদন করেন। অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে গত ১০ বছরে সারাদেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে, তার তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের মামলা রুদ্ধদ্বার আদালতে বিচারের বিধান কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।