নোয়াখালী জেলায় সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ সামাজিক দূরত্ব না মানায় ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে অবহেলা করায় জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ৮ টায় এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলার সব ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সরকারের বেঁধে দেওয়া শর্তসমূহ পালন সাপেক্ষে খোলা রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত চার দিন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতা ও বিক্রেতারা সরকারের দেওয়া শর্ত মেনে চলার বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নোয়াখালীবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং মৃত্যু ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে ১৫ মে শুক্রবার ভোর ৬টা হতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোয়াখালী জেলার সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগ, নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান, ওষুধ, কাঁচা বাজার ও অন্যান্য পরিষেবা আগের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। একাধিক টিম মার্কেটে থেকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজও করেছে। তাদের পর্যবেক্ষণে কোথাও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি। তাই সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক একেএম সাইফুদ্দিন সোহান বলেন, মার্কেট ও শপিংমল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কর্মচারীদের মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে আবারও সব বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
Discussion about this post