৭০ বছর বয়স্ক আব্দুল নামে এক ব্যক্তিকে পারিবারিক শত্রুতা এবং ভূমি নিয়ে গন্ডগোলের কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৪)(ঘ) এর মামলায় ধর্ষন মামলার আসামী করা হয়।
টাউট আনোয়ার উক্ত মামলায় জামিন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা চুক্তি করে এবং জামিন হয়েছে বলে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরই সাথে, জাল সমন ইস্যু করে আগামী ২৪/৯/২০২০ হাজিরা আছে বলে তাদের হাইকোর্টে আসতে বলেন।
নির্ধারিত দিনে আসামী হাইকোর্টে হাজির হলে তাদের থেকে জামিন আবেদনে স্বাক্ষর নিয়ে বলে জামিন করতে ৫২০০০ টাকা লাগবে। আসামীপক্ষ ১০,০০০ টাকা দেয় অতঃপর কিছুক্ষন পর এসে ম্যাজিস্ট্রেটের জাল স্বাক্ষর দেয়া জামিননামা আসামীকে দিয়ে বলে জামিন হয়ে গেছে। তারা কাগজ পত্র দেখতে চাইলে টাউট আনোয়ার বলে জামিন হয়ে গেছে এগুলো স্ট্যাম্প।
আসামী পক্ষের সন্দেহ হলে আনোয়ারকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে হস্তান্তর করে এবং আইনজীবী সমিতি উক্ত কাগজ পর্যবেক্ষণ করে এগুলো সমস্ত জাল বলে নিশ্চিত করেণ।
উক্ত টাউট সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মহসিন কবির বলেন, টাউট আনোয়ারকে ভুক্তভোগীরা সমিতিতে নিয়ে আসলে তার কাছে সমস্ত জাল কাগজ সহ একটি নোট বই পাওয়া যায় উক্ত নোট বইয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর নাম এবং নাম্বার পাওয়া যায়। আদৌ নাম্বার গুলো সত্য না মিথ্যা তা আমরা জানিনা! আইনজীবী সমিতি টাউট আনোয়ারকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
Discussion about this post