ডেস্ক রিপোর্ট
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার (নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার মো. সুমন জমাদ্দারকে (৩১) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ মে) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার (১৬ মে) লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার (১৪ মে) আসামি সুমন জমাদ্দারকে আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারও আগে শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৫১৩টি পদে নিয়োগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের দুই নম্বর ভবনের ২২৩৭ নম্বর কক্ষে শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষা (এমসিকিউ) চলাকালীন একজন শিক্ষার্থী তার কাছে থাকা প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে পূরণ করছিলেন। তখন ডিউটিরত শিক্ষিকা পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র যাচাই করে দেখেন একটি প্রবেশপত্রের পেছনে ছোট আকারে উত্তর লেখা।
এরপর তিনি বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানান। পরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী জানায়, তিনি পটুয়াখালীর সাইফুল, টাঙ্গাইলের খোকনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের সহায়তায় হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে তার মোবাইল নম্বর প্রশ্নের উত্তর পাঠান।
এ ঘটনায় দু’টি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র (ক-সেট) ও একটি মোবাইলসহ সুমন জমাদ্দার গ্রেফতার করা হয়। পরে লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
Discussion about this post