Saturday, March 25, 2023
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home মানবাধিকার

মানবাধিকার কর্মীর অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা

by admin
January 6, 2019
in মানবাধিকার
0
A A
0
202
VIEWS
Facebook

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত 

যে ব্যাক্তি ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যের সহযোগে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের আন্দোলনে মানবাধিকার কর্মীরা মুখ্য ভুমিকা পালন করে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের মাধ্যমে গনতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে মানবাধিকারকর্মীরা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

hr5মানবাধিকারকর্মীরা সামাজিক, রাজনৈতিকও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা প্রশমন, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংগনে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পৃষ্ঠপোষকতা করে। তারা মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা করতে জাতিসংঘের আওতায় আঞ্চলিক ও অন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গঠনে কাজ করে।

মানবাধিকারকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতাঃ

মানবাধিকার আন্দোনের সাথে জড়িত মানবাধিকারকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতিনিয়ত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি কর্তৃক হত্যা, হত্যার হুমকি, শারীরিক আক্রমন, হত্যার উদ্দেশ্যে শারীরিক আক্রমন, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, গ্রেফতার, লাঞ্ছনা, হয়রানী ইত্যাদির শিকার হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে মানবাধিকারকর্মীরা আজ হুমকির সম্মূখীন।

মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত থাকায় মানবাধিকারকর্মীরা প্রায় সরকারি বাহিনী ও বেসরকারী শত্রু কর্তৃক নির্যাতনের প্রথম শিকারে পরিনত হয়।তাদের জীবনের উপর হামলা, শারীরিক আক্রমন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা হননের মত সহিংসতার শিকার হওয়া নৈমত্তিক ব্যপার।আইনের মাধ্যমে সংগঠন, সমাবেশ, তথ্যপ্রাপ্তিসহ আন্দোলনের স্বাধীনতার মত মানবাধিকার কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করে নির্যাতন চালানো হয়।

শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে অনেক সময় মানবাধিকার কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ করা হয়। মানবাধিকার কর্মীরা রাষ্ট্র কর্তৃক হয়রানী, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাকুরী হারানো, কাজের অধিকার, চিকিৎসার অধিকার, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার অধিকার অস্বীকার করাসহ বসতবাড়ী, জমিজমা ও নাগরিকত্ব হারানোর মতো নির্যাতনেরও শিকার হন।

এমনকি মানবাধিকার কর্মীর আত্বীয়স্বজন ও তাদের শুভাকাংখীরাও সংহিসতার শিকারে পরিনত হন। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ রেজুল্যুশন নং ৫৪/১৭০ অনেক রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গদের হুমকি, হয়রানী ও নিরাপত্তাহীনতার সম্মূখীন হওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা:

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মানবাধিকারকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে বিনা বাঁধায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে জাতিসংঘ প্রস্তাবনা এ/রেস/৫৩/১৪৪ মাধ্যমে ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা গ্রহণ করে।

মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও কর্তব্য বিষয়ে একটি ঘোষণা গ্রহন করতে জাতিসংঘ ১৯৮৪ সাল থেকে আলোচনা শুরু করে এবং জাতিসংঘ সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের অর্ধশত বছর পুর্তিতে ১৯৯৮ সালে সাধারন পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা গ্রহণের মাধ্যমে তা সম্পন্ন হয়। অনেক সংখ্যক বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের আন্তরিক সমন্বিত প্রচেষ্টা অতি প্রয়োজনীয় এই ঘোষণা চুড়ান্ত করতে সহযোগীতা করেছে।

এই ঘোষনা শুধুমাত্র মানবাধিকারকর্মী ও রাষ্ট্রকেই নয়, সকলকে সমগুরুত্ব প্রদান করেছে। আমাদের প্রত্যেকের মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে মর্মে এই ঘোষণা প্রকাশ করে। তাছাড়া, আমাদের প্রত্যেকের সার্বজনীন মানবাধিকার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে এই ঘোষণা গুরুত্ব প্রদান করেছে।

জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহিত মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত এই ঘোষণার পুরো নাম “সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এবং সংস্থা সমূহের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কিত ঘোষণা” সংক্ষেপে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্মী ঘোষনা” হিসেবে পরিচিত।

আইনগত  বাধ্যবাধকতা:

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ এর নিজস্ব কোন আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ইহা আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি যেমন-নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো নীতি ও অধিকারের সমন্বয়ে গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া, এই ঘোষণা জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি কর্তৃক বাস্তবায়নে সুদৃঢ় অংগীকারের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে এবং বর্তমানে রাষ্ট্রসমুহ ক্রমবর্ধমানভাবে এই ঘোষণাকে তাদের রাষ্ট্রীয় আইনের মত বাধ্যবাধক হিসেবে গ্রহনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ মানবাধিকারকর্মীদের কাজের প্রতি সমর্থন ও তাদের সুরক্ষা প্রদান করে।এটি নতুন কোন অধিকার সৃষ্টি করে না, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের জন্য বিদ্যমান অধিকারসমুহ কার্যক্ষেত্রে সহজে ব্যাবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। এটি মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠনের আর্থিক তহবিল প্রাপ্তি সহজলভ্য করা ও মানবাধিকার লংঘন ও মানবাধিকার মানদণ্ড বিষয়ক তথ্য বিনিময় সহজীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।

রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে এই ঘোষণার সম্পর্ক বাখ্যা করাসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং মানবাধিকার রক্ষাকালে প্রত্যেকের কর্তব্যসমুহ এই ঘোষণায় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।এটি গুরুত্বপূর্ণ যে মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত এই ঘোষণার অধীনে শান্তিপূর্নভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা:

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ এর ১, ৫, ৬,৭,৮,৯,১১,১২ ও ১৩ নং ধারা মানবাধিকারকর্মীদের নিম্নলিখিত অধিকারসহ সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা প্রদান করে:

১) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার পাওয়া ও সুরক্ষা চাওয়া;

২) ব্যক্তিগতভাবে এবং অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মানবাধিকার রক্ষামুলক কাজ পরিচালনা করা;

৩) সমিতি ও বেসরকারী সংস্থা গঠন করা;

৪) শান্তিপূর্ণভাবে সাক্ষাৎ এবং সমাবেশ করা;

৫) মানবাধিকার সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া, পাওয়া, গ্রহন ও ধারন করা;

৬) নতুন মানবাধিকার ধারনা ও নীতিসমুহের উন্নয়ন ও আলোচনা করা এবং তাদের স্বীকৃতির জন্য তদ্বির করা;

৭) সরকারী কর্তৃপক্ষ ও সংস্থা এবং বেসরকারী সংগঠন যারা সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে, তাদের নিকট কার্যক্রম উন্নয়নের প্রস্তাব পেশ করা এবং তাদের কার্যক্রমে যদি কোন মানবাধিকার ব্যাহত হয়, তবে সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা;

৮) মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতি ও আইনের বিষয়ে অভিযোগ করা এবং সে অভিযোগ পুনরীক্ষণ করা;

৯) মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে পেশাগতভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন আইনী সহায়তা অথবা অন্যান্য প্রায়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা;

১০) দেশীয় আইন এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে মতামত তৈরী করার জন্য প্রকাশ্য শুনানী, কার্যক্রম এবং মামলায় উপস্থিত থাকা;

১১) বেসরকারী এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে বাঁধাহীনভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা;

১২) ফলপ্রসু প্রতিকার পাওয়া;

১৩) মানবাধিকার কর্মীর পেশা ও বৃত্তি আইন সংগতভাবে অনুশীলন করা;

১৪) রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত কাজের ফলে মানবাধিকার লংঘিত হলে তার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ন উপায় বা কাজের মাধ্যমে প্রতিবাদ করলে জাতীয় আইনের মাধ্যমে কার্যকর সুরক্ষা পাওয়া; এবং

১৫) মানবাধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যে সম্পদ প্রাপ্তির অনুরোধ, গ্রহন ও ব্যবহার করা।

রাষ্ট্রের দায়িত্ব:

মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ এর সব বিধান বস্তবায়ন করা ও মেনে চলা সকল রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যাহোক, ২, ৯, ১২, ১৪ এবং ১৫ নং ধারা রাষ্ট্রের নিম্নলিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করাসহ তার ভুমিকা বিষদভাবে উল্লেখ করেছে:

১) সকল মানবাধিকার সুরক্ষা, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা;

২) মানবাধিকারকর্মীর সামাজিক, অথৃনৈতিক, রাজনৈতিকও অন্যান্য অধিকার ও স্বাধীনতা বাস্তবে নিশ্চিত করা;

৩) মানবাধিকারকর্মীর অধিকার ও স্বাধীনতা কার্যকারভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনগত, প্রশাসনিক ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহন করা;

৪) মানবাধিকার লংঘনের শিকার ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কার্যকর প্রতিকার প্রদান করা;

৫) মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা;

৬) মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা’র আওতাধীন কোন অধিকার আইন সংগতভাবে অনুশীলন করার ফলে তার বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি, প্রতিশোধ, জবরদস্তিমূলক বৈশম্য, চাপ অথবা অন্য কোন স্বেচ্ছাচারী ব্যাবস্থা গ্রহনের হাত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা;

৭) নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে গনসচেতনতামুলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা;

৮) সকল স্তরের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষন কার্যক্রমে মানবাধিকার শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করা।

ব্যক্তিগত কর্তব্য:

মানবাধিকার কর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ সবায়কে সমাজের প্রতি ও সমাজের মধ্যে এবং মানবাধিকারকর্মী হিসেবে সমাজে ভুমিকা রাখতে উৎসাহ প্রদানের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই ঘোষনার ১০, ১১, ১৮ নং ধারা প্রত্যেকের মানবাধিকার উন্নয়ন, গনতন্ত্র রক্ষা ও অন্যের অধিকার লংঘন না করার দায়িত্ব আরোপ করেছে। ১১ নং ধারা সেসব পেশা, যা অনুশীলনের সময় অন্যের অধিকার লংঘিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষত পুলিশ সদস্য, আইনজীবী ও বিচারকদের কর্তব্য সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করেছে।

জাতীয় আইনের ভূমিকা:

জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ এর ৩ ও ৪ নং ধারা এই ঘোষনার আলোকে আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আইনগত মানদন্ড অনুসরনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক চুক্তিসমুহের পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে তা বাস্তবাস্তবানে বাধ্যবাধকতার কারনে মানবাধিকারকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ বাস্তবায়নে অংগীকারাবদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সে প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়ন না করে মানবাধিকারকর্মীদের নির্যাতন, হুমকি, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হয়রানি করে প্রতিনিয়ত তা লংঘন করে চলেছে। সরকারের এখনই প্রয়োজন আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ আলোকে মানবাধিকারকর্মী (অধিকার ও সুরক্ষা) আইন প্রনয়নের মাধ্যমে মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

 

লেখক: মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিক, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ; ইমেইল: saikotbihr@gmail.com, ব্লগ: shahanur.blogspot.com

 

Next Post

মোবাইল কোর্ট আইন প্রয়োগে সতর্কতা চাই

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

March 2023
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
« Feb    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In