ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত এবং রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাকুরিয়ায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ইব্রাহিম (৪২)। তার বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলায় বলে জানা গেছে। এ সময় এস আই সাইয়াদুল, এ এস আই ইলিয়াছ খানসহ পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাচোরা এলাকায় মহিউদ্দিনের বাড়ির পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালেপুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এ ঘটনা ঘটে।
বন্দর থানার ওসি একেএম শাহীন মন্ডল যুগান্তরকে জানান, ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বন্দরের সোনাচোরা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতরা পিছু হঠে। পরে ঘটনাস্থলে এক ডাকাতকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয় ।
এদিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাকুরিয়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মাদক বিক্রেতার নাম দুলাল মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার হরিহর গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০৬ পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাকুরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক এএফএম আশরাফুল ইসলাম জানান, সোমবার দিবাগত রাতে মোহনপুরে টহলের সময় কমপক্ষে ১০ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে র্যাব সদস্যদের দেখে পালাতে চেষ্টা করে।
র্যাব সদস্যরা তাদের পিছু নিলে তারা গুলি ছুড়ে। এ সময় র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও দুলাল মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাদক ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে লাশ বর্তমানে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
Discussion about this post