করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে টিসিবির ১০ টাকা দামের চাল ও অন্যান্য পণ্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। জনস্বার্থে শনিবার (১৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ই-মেইলের মাধ্যমে “ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের” পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি দায়ের করেছেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) চেয়ারম্যানকে।
এর আগে গত (৩০ এপ্রিল) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার নির্ধারিত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
সারা দেশে টিসিবি পণ্য বিক্রির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে আইনজীবী বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১০ টাকা মূল্যে চালসহ টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য বিক্রির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট দায়ের করা হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুধু সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল কোর্টে রিটটি শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব আরও বলেন, টিসিবি পণ্য শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশন এবং কিছু কিছু পৌরসভা এলাকার মধ্যে সীমিত। যে কারণে এর সুফল সারাদেশের নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারছে না। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু কম দামে খাদ্যদ্রব্য কেনার অধিকার বাংলাদেশের শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভা এলাকার মধ্যকার মানুষের নয় বরং বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে বসবাসকারী একজন সাধারণ মানুষের রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ছুটি চলছে এবং সারাদেশে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছেন তারা ব্যাপক আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তারা সংকটে পড়েছেন। কিন্তু এই টিসিবির মাধ্যমে কম দামে যেসব পণ্য বিক্রি করা হয় সেটা যদি শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এই খাদ্য সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
Discussion about this post