চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গুম-অপহরণের শিকার হয়েছেন ৫২ জন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ছয়দিনে দুই ব্যবসায়ী ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে। একের পর এক এ ধরনের অপহরণের ঘটনা নিন্দনীয়।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘অপহরণ কিংবা গুম মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই, নিখোঁজ ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াসহ এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই।’
সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফুল বেঞ্চ সভায় গুম ও অপহরণের অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ আমলে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বেলারুশের অনারারি কন্সাল ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায় নিখোঁজের ঘটনাকে কমিশন গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অপরাধ ঘটে থাকলে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা দেশের ভাব-মূর্তি এতে ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, সামাজিক অস্থিরতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
Discussion about this post