নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় আনা হয়েছে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে। সাতক্ষীরা থেকে র্যাবের অভিযান দলের সাথে হেলিকপ্টার যোগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢাকায় আনা হয়। র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ জানান, র্যাব সদর দফতরে সাহেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর যদি কোথায় অভিযান চালানোর প্রয়োজন হয় চালানো হবে।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ভোরে সীমানা অতিক্রম করে ভারতে যাবার পরিকল্পনা করছিলেন শাহেদ। আর তখনই তাকে ধরা হয়। তার কাছে একটা ম্যাগজিন, একটা পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও মোবাইল পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, শাহেদ একটি নৌকায় বোরকা পরে ছিলেন যেন তাকে চেনা না যায়। নদীর পাড়ে ওঠার আগেই তাকে ধরা হয়েছে। তার কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকায় ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
আশিক বিল্লাহ বলেন, শাহেদকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনুসরণ করেই এখান থেকে ধরেছি। তিনি বারবার তার রূপ পরিবর্তন করেছেন। এর আগে তিনি তার সাদা চুল কালো করেছেন। দাড়িগোঁফ ফেলে দিয়েছেন। তবে তিনি সাঁতরিয়ে যেতে পারেননি। তিনি মোটা মানুষ তাই দৌড়াতেও পারেনি। তবে, নৌকার মাঝি সাঁতরিয়ে পালিয়ে গেছেন।
গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন সাহেদ। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাব। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।
Discussion about this post