বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন হাইকোর্টের আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে। হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৫৪ নাম্বার সিরিয়ালে রিট আবেদনটি রাখা হয়েছে। রিট পিটিশন নাম্বার- ১৮১৩/২০১৬ ।
আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ ১৮ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে এ রিট আবেদনটি করেন।
এ বিষয়ে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বিধি ৬০-এর বি ধারা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী বার কাউন্সিলের সনদ পরীক্ষার জন্য মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পরে আরো দুইবারসহ মোট তিনবার মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারে। কিন্তু কোনো ছাত্র লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে তাঁকে আবার বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়। তাঁকে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। তাই আবেদনে বলেছি যেন লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর পুনরায় শুধু লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যাডভোকেটশিপ সনদ পরীক্ষায় তিন ধাপে পরীক্ষা হয়ে থাকে। একজন শিক্ষার্থী এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক এ তিনটি ধাপ শেষ করার পর কেবল সনদ পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষার্থী শুধু মৌখিক পরীক্ষায় প্রথমবার অকৃতকার্য হলে পরবর্তী সময়ে তিনি পর পর আরো দুইবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী প্রিলিমিনারি শেষ করার পর লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তাঁকে আবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
রিট আবেদনে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনার ঘোষণা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
Discussion about this post