সাধারণত আমরা জানি Coaching শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হল “শিক্ষা দেওয়া” আর Centre শব্দটিও একটি ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হল “কেন্দ্র”, সবমিলিয়ে যার অর্থ হল “শিক্ষা দেওয়ার কেন্দ্র”। Coaching Centre এর অর্থ শিক্ষা কেন্দ্র হলেও কিছু অসাধু, স্বার্থন্বেষী এবং অসৎ লোকের কারনে এর অর্থ এবং কার্যক্রম বিতর্কিত এবং ভুল পথে পরিচালনা হচ্ছে। যেখানে শিক্ষাই হওয়া উচিৎ ছিল মূল ব্রত সেখানে কোচিং সেন্টার পরিনত হয়েছে ব্যাবসা কেন্দ্রে। শিক্ষাকে কেন্দ্র করে অসাধু লোকেরা শুরু করছে ব্যাবসা যা মোটেই কাম্য নয়। কোচিং সেন্টারের বদৌলতে আজ আমরা কি দেখছি? দেখছি আমার মাতৃভূমিতে প্রশ্ন ফাস সহ অনৈতিক নানা কর্মকাণ্ড। যেটা হওয়া উচিৎ ছিল শিক্ষার আতুড়ঘর আজ সেটা পরিনত হয়েছে অসৎ,অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আতুড়ঘর হিসাবে। যেখানে মূলধারায় শিক্ষা দিয়ে সমাজকে আলোকিত করার কথা সেখানে শর্টকাট পথ বাতলে এবং প্রশ্ন ফাঁসের মত জঘন্য কাজ করে সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে কোচিং সেন্টারের সাথে জরিত স্বার্থন্বেষী মহল। ফলে বাংলাদেশ সরকার এক পর্যায়ে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করেছিল। যদি কোচিং সেন্টার বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় এতই গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে বন্ধ করেছিল কেন? সরকার বুঝেছিল এরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আলোর পথে নয় ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে । এইযে গত ২৮/০২/২০২০ তারিখের বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তি পরীক্ষা তার জ্বলন্ত উদাহরণ যারা মূল ধারার বই না পড়ে কোচিংয়ের সংক্ষিপ্ত পথ বেছে নিয়েছিল এবং কোচিং সেন্টারের ব্যাবসায়িকদের অমায়িক কথায় মন গলিয়ে সিটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছিলেন তারাই বেশি বিপদে পরেছে অর্থাৎ ফেল করেছে, তাদের স্বপ্ন ছোয়ার পরীক্ষায়। আপনারা দেখেছিলেন পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬ ঘন্টা পরও কোন কোচিং সেন্টার প্রশ্ন পত্রের সমাধান বের করতে পারে নি। আর যারা মূল বইয়ের পাশাপাশি মূলধারর সাথে সংযুক্ত বই গুলো পড়েছে তারাই হয়েছেন কামিয়াব। যেমন আমি ২৮/০২/২০২০ এম সি কিউ পরীক্ষায় সফলতা এনেছি মূল ও মূল ধারার বই পড়ে।সেখান থেকে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি যদি আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষায় সফলতার মূখ দেখতে চান এবং কোর্টে প্রাকটিস করে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে মূল বইয়ের বিকল্প ভাবা উচিৎ হবে না।আপনার যদি মূল বই বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি মূল ধারার সাথে সংযুক্ত কিছু বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। বাজারে বিজ্ঞ আইনজীবীদের লেখা অনেক বই পাবেন৷ তার মধ্যে অন্যতম ভাল বই হল ব্যারিস্টার আবদুল হালিম স্যারের লেখা বই, তসলিম উদ্দিন স্যারের লেখা বই, আইন পাঠ,আইনের ধারাপাত, আইনের সহজ পাঠ সহ আরও অনেক বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
চটকদার বিজ্ঞাপনে না মজে মূলবই বা মূল ধারার বইয়ে মজুন,সপ্নকে স্পর্শ করুন নইলে আবারও ৫ বছর পিছনে।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাইঃ-
মায়ের বুকের দুধের বিকল্প যেমন শ্রেষ্ঠ কিছুই নাই।
ঠিক তেমনই আইনজীবী হতে এবং আইন পেশায় ভাল করতে মূল বইয়ের বিকল্প শ্রেষ্ঠ কিছুই নাই।
Discussion about this post