বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান, বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী ‘শ ম রেজাউল করিম’ স্যার, যে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের পাশাপাশি অন্য পেশায় কাজ করতে বলেছেন অন্যদিকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ এবং বিধি, ১৯৭২ এ কি বলা হয়েছে —
বাংলাদেশে লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এবং বার কাউন্সিল রুল, ১৯৭২, ৬০(২) বিধি অনুযায়ী এডভোকেট হওয়ার জন্য প্রত্যেক ব্যাক্তিকে এল.এল.বি পাশ করার পর সর্বনিম্ন ‘১০’(দশ)বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত আছে এমন এডভোকেটের অধীন ‘৬’ (ছয়) মাস শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজ করতে হবে।যে এডভোকেটের অধীন শিক্ষানবীশ নেওয়া হয়, তার সাথে চুক্তির করার মেয়াদ থেকে ৩০ দিনের মাধ্য উক্ত চুক্তিপত্রসহ আবেদনপত্র বার কাউন্সিল জমা দিতে হয়।আইনজীবী নিবন্ধন পরিক্ষার জন্য যা ইন্টিমেশন ফরম নামে পরিচিত। ফরমের সাথে একটি হলফনামা(সত্য ঘোষণা) থাকে, যাতে হলফ করে বলতে হয় যে ‘আমি কোন “চাকরি, ব্যাবসা বা অন্য কোন পেশা ইত্যাদির সাথে জরিত না’। এবং বাংলাদেশে লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এবং বার কাউন্সিল রুল, ১৯৭২ বিধি-৮ অনুসারে, ‘একজন আইনজীবী অন্য কোন পেশা বা ব্যাবসা বা সক্রিয় অংশীদার বা বেতনভুক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসাবে কোন পেশা বা ব্যাবসা সাথে জরিত হবে না। এই বিধি অমান্য করলে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত আইনজীবীকে তিরস্কার বা পেশা পরিচালনা বন্ধ বা পেশা হতে অপসারণ করতে পারে’।
তাহলে কি আইন পেশার পাশাপাশি একজন আইনজীবী এবং একজন শিক্ষানবীশ অন্য কোন পেশা বা কাজ করতে পারে?
যেহেতু আইনানুযায়ী হলফনামা মেনে সাইন করে ইন্টিমেশন পেপার জমা দিতে হয় তাহলে এই হলফনামাই যথেষ্ট যে, আইনানুযায়ী শিক্ষানবীশদের অন্য কোন কাজ বা পেশায় জড়িত হওয়ার সুযোগ নাই।
Discussion about this post