বিডিলনিউজ: বাংলাদেশে গণমাধ্যম এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু সুরক্ষা দিয়ে আদালত অবমাননার যে আইন করা হয়েছিল, হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার সেই আইনকে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় অবৈধ ঘোষণা করেছে।আইনটি আবার বহাল হলো।
তবে সরকার বলছে, সংসদে পাশ হওয়া আইনের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা উচিত।সেই কারণে সরকারের পক্ষ থেকে আপিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।দু’জন আইনজীবীর রিট মামলায় হাইকোর্ট ঐ রায় দেয়।
আদালত অবমাননা আইন সংসদে পাশ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। সাতাশি বছরের পুরোনো আইনের পরিবর্তে নতুন এই আইনে আটটি ধারায় গণমাধ্যম এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুরক্ষার কিছু ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।এতে বলা হয়েছিল, আদালতের খাস কামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশ করলে তা আদালত অবমাননা হবে না।
আদালতের বিচারক সম্পর্কেও কোন ব্যক্তির মন্তব্য বা বিবৃতি দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল।সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকারি অর্থে আইনজীবী নিয়োগের বিষয়সহ কিছু সুবিধার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু এই আইনটিকে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে।শফিক আহমেদের বক্তব্য হচ্ছে, হাইকোর্ট আদালত অবমাননার আইনকে সংবিধান পরিপন্থী বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তার সাথে সরকার একমত নয়। সে কারণে সরকার উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
আদালত অবমাননা আইন ২০১৩ সংসদে পাস হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মার্চ মাসে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রায় রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিমকোর্টের দু’জন আইনজীবী — আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এবং আয়শা খাতুন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরশেদ।
তিনি দাবি করেন, আদালতের অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্যই রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।এখন আইনটি বাতিল হলেও গণমাধ্যম বা কোন পক্ষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
Discussion about this post