তিনি বলেন, এরইমধ্যে প্রতি জেলায় ২৬ থেকে ৪০ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে বিচারকরা মামলা নিষ্পত্তি করতে চাইলেও আইনজীবীদের কারণে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগ আমূল পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিকেলে আইনজীবীরা আদালতে না থাকায় অনেক সময় বিচারকাজ চালানো যায় না। আশা করি তারা আদালতে উপস্থিত থেকে বিচারকদের সহযোগিতা করবেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া সঠিক বিচার করা সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও আমরা পিছপা হইনি।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষে বিচার বিভাগকে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বিচারকাজে অগ্রগতির লক্ষে প্রত্যেক বিচারককে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। আগামীতে সাক্ষীদের টিএ-ডিএ দেওয়া ছাড়াও নারী সাক্ষী ও বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, হত্যা মামলার ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকরা নিজে উপস্থিত থাকেন না। অনেক সময় তারা ডোমদের কাছ থেকে জেনে প্রতিবেদন তৈরি করেন। এ নিয়ে মামলা চালাতে জটিলতা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, অনেক সময় দূর্বলদের এফআইআর পুলিশ গ্রহণ না করায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। এতে আদালতের বাড়তি সময় ব্যয় হয়।
এ ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক অপরাধ হলে প্রতিটি থানায় মামলা নিতে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
হাউজি, জুয়া ও কূপন খেলা বন্ধে যদি কেউ হাইকোর্টে রিট করে সেক্ষেত্রে তিনি নিজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
জেলা ও দায়রা জজ মো. জাফরোল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নুরুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন দেবব্রত রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএইচএম আনোয়ার পাশা, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুর রহমানসহ জজ আদালতের বিচারক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post