নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে আদালতের চাওয়া প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি আজ। এ ঘটনায় পুলিশেরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে এর আগে চিকিৎসাধীন রোগীসহ পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ হাইকোর্টে রিট করেন।
আজ রবিবার (১৪ জুন) ওই রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) শুনানি ও আদেশের জন্য রয়েছে।
এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ জুন ইউনাইটেড হাসপাতাল, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন চাওয়া হয়।
তার আগে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চেয়ে গত ৩০ মে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব। এর মধ্যে ১ জুন আরও একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
আইনজীবী জানায়, আদালতের নির্দেশনায় আগুনের ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে আজ নির্ধারিত দিনে রোববার (১৪ জুন) কার্যতালিকায় রিটটি এক নম্বরে রয়েছে।
২৮ মে ইউনাইটেড হাসপাতালের পাঠানো এক বার্তায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও এক নারী রয়েছেন।
তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহবুব (৫০)।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৮ মে বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে মূল ভবনের বাইরে হাসপাতাল সংলগ্ন করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
সে সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে ভর্তি থাকা পাঁচ রোগীকে বাইরে বের করা সম্ভব হয়নি। তারা ভেতরেই মারা যান। আইসোলেশন ইউনিটের পাঁচজনই করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন।
Discussion about this post