নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদকে নিয়ে উত্তরার অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে এই অভিযান শুরু হয়।
কী কারণে সেখানে অভিযান জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, এটা শাহেদের দ্বিতীয় অফিস। এই ফ্ল্যাটের খবর আগে পায়নি র্যাব। শাহেদকে গ্রেফতারের পর তার কাছে এই ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে।
এর আগে এক সপ্তাহ ধরে পলাতক শাহেদকে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে একটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর সকাল ৯টায় শাহেদকে নিয়ে র্যাবের হেলিকপ্টারটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমাবন্দর থেকে এক গাড়িতে করে তাকে নিয়ে র্যাব হেডকোয়ার্টারে যায়। এরপর শাহেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের অভিযানে র্যাব।
গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন শাহেদ। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাব। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।
Discussion about this post