প্রায় দীর্ঘ ৩ বছর পর এম সি কিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত এবং বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লিখিত পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে অনশ্চিত হয়ে পড়ায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ২০১৭ এবং ২০২০ সালের আইনজীবী তালিকাভুক্ত পরীক্ষায় এম সি কিউ উত্তীর্ণদের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির দাবীতে গত ৭ জুলাই ২০২০ ই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অনশন করেণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ অতঃপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সদস্যদের চলাফেরার অসুবিধাসহ নানবিধ কারণে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের আশ্বাসে অনশন ছেড়ে আসতে হয় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের।
এরপর, ১৫ জুলাই থেকে অধ্যাবধি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয় বোরাক টাওয়ারে্র সামনে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ। এমতাবস্থায়,আজকে ১৭ দিন হয়ে গেলেও বার কাউন্সিল থেকে কোন সাড়া পায়নি শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ।
আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক সুমনা আক্তার লিলি বিডি ল নিউজকে বলেন, আমরা আজ একটানা ১৭ দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের কর্মসূচি পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে বরিশাল জেলা বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী,আমাদের সহযোদ্ধা ইলোরা ইয়াসমিন আপা আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আমরা আপার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।আমাদের অনেক সহযোদ্ধা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।আমরা এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব ইনশাল্লাহ।
রাজশাহী বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোহাম্মদ মিরাজ বলেন, আমাদের বার কাউন্সিলের প্রতি আর কোন দাবী নাই। আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিডি ল নিউজের মাধ্যমে আমি বলতে চাই আপনি দেশের কোন মানুষকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি তাহলে আমরা শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা কি অপরাধ করেছি ! দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শুধুমাত্র পরীক্ষার জটের কারণে বছরের পর বছর বেকার বসে আছি! আমরা আপনার সাথে দেখা করতে চাই। আমাদের আপনি বার কাউন্সিলের এই ভয়বহ অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
Discussion about this post