করোনা কালীন ঘরে বসে অনেক কিছুই মনে আসে । বেশ কিছুদিন হয়ে গেল আমরা যুদ্ধ করছি করোনা নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে কিন্তু ধীরে ধীরে মনে হচ্ছে আমাদের করোনার সাথে সহ অবস্থান করতেই হচ্ছে
করোনা শুরুর প্রারম্ভেই আমাদের সুপ্রিম কোর্ট বার এর নির্বাচন হয়ে গিয়েছে এবং দেখতে দেখতে ৬ মাস অতিক্রান্ত হল সদ্য নির্বাচিত কমিটির । আবার আরেকটি নির্বাচন আগত প্রায় । নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এ বরাবর ই ভোট খেলা হয় । বাৎসরিক এ খেলা শুরু হয় ঠিক নির্বাচনের পূর্বেই । খেলার পরিকল্পনা আগে থেকে শুরু হয় তা বলাই বাহুল্য । এই খেলার একটি দিক আজ তুলে ধরছি বাকি পরে বলবো।
আইনজীবীরা ২/৩ তা বারের মেম্বার হতে পারে । একটি মাদার বার ,যে বার থেকে তারা শুরু করে আইন প্রফেসান ,তারপর দুই বছর পরে হাইকোর্ট বারএ মেম্বার হন ,এর পর অন্য কোনও বার এ মেম্বার হলে তাতে কোনও অসুবিধা নাই ।যখন একজন মেম্বার হাই কোর্ট এ practice করেন কিন্তু তিনি হয়ত শুরু করেছিলেন বরিশাল বারে । তো সেই অবস্থায় উনি বরিশাল বার এ ভোটার হবেন সাথে হাই কোর্ট বারের ও মেম্বার । উনি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী হাই কোর্ট ও বরিশাল দুই বারেই ভোট দিতে পারবেন ।
আগের নিয়ম ( সন তারিখ উল্লেখ করছি না ) অনুযায়ী এই রকম ভোটার রা যে কোনও এক বারে টিক চিনহ দিবেন তাঁর নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী এবং সেই মোতাবেক উনি একটি বারেই ভোট দিতে পারবেন।
এই যে এক বার ও একাধিক বারের ভোটার এর সুবিধা অসুবিধা একটু বিশদ বর্ণনা করছিঃ
একাধিক বার এ ভোটের সুবিধা তেমন কিছুই না শুধু ভোটার একাধিক বারের ভোটের সময়ে বেশ সমাদৃত হন এবং তারা যদি জেলা বার এ ভোটার হন তাইলে তিনি প্রার্থী কে চিনে জেনে ভোট দিতে পারেন কিন্তু উনি যদি জেলা বার এর সাথে হাই কোর্ট এ ভোটে দিতে আসেন তখন উনি তো সব প্রার্থীকে সংগত কারণেই চিনেন না ,আর তখনি ঘটে বিপত্তি,তখন শুরু হয় ভোট বাণিজ্য । তাদেরকে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে হোটেল এ রাখা তারপর জামাই আদর করে ভোটে নেয়ার প্রতিযোগিতা চলে । কখনও কখনও এ প্রতিযোগিতা র অংশ হিশাবে দুই দল তাদের নিজেদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি করে নেন। দলের মধ্যে থেকে দলের বিরধিতা শুরু হয়।
এক বার এক ভোট হলে আপনি সবাইকে চিনবেন, আপনি প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবেন , আপনাকে কেউ বিপথে নিতে পারবে না , আপনি নিজের ভোটে নিজে দিবেন এর চেয়ে উত্তম আর কি হতে পারে ! সাথে আর ও সুবিধা যেমন আমাদের ভোটার সংখ্যা কমে যাবে এক বার এক ভোট পদ্ধতিতে ।
লেখকঃ নাহিদ সুলতানা যূথী, আইনজী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
Discussion about this post