আইন পেশা হচ্ছে পৃথিবীর সব অভিজাত পেশার অন্যতম। আর এ অভিজাত পেশার মানুষগুলোর নামের আগে ‘বিজ্ঞ’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ ‘বিজ্ঞ আইনজীবী’ বলার মাধ্যমে এ পেশার আভিজাত্যকে ফুটিয়ে তোলা হয় অনিপুণ সৌন্দর্যে। আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট সনদ পরীক্ষায় পাস করতে হয়। এ জন্য রেজিস্ট্রেশন, তালিকাভুক্তির আবেদন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা, এই পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়।
আগামী ১৪ অক্টোবর রয়েছে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট সনদের লিখিত পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি পাস করা আবেদনকারীরা এই ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। পাস নম্বর ৫০। ৪ ঘণ্টার এ পরীক্ষায় দেওয়ানি কার্যবিধি ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে, লিখতে হবে দুটি। ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন এবং তামাদি আইন থেকে দুটি করে প্রশ্ন থাকবে, লিখতে হবে একটি করে। ১৫ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে প্রতিটি প্রশ্নে। বাকি ১০ নম্বরের প্রশ্ন করা হবে বার কাউন্সিল আদেশের ওপর। প্রশ্ন থাকবে দুটি, উত্তর দিতে হবে একটির।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে অন্তত বিগত ছয়-সাত বছরের প্রশ্নগুলো একটু বেশি করে পড়ুন। বাজারের নোট বা গাইড বইয়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হয়ে ভালো মূল বই থেকে পড়ুন। সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক চেষ্টা না থাকলে পাস নাম্বার ৫০ তোলাটা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। তাই সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার চেষ্টা করুন।
গড়ে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৩৪ মিনিট। সাতটি প্রশ্নের ভেতর কোন প্রশ্নটি আগে লিখবেন, প্রথম তিনটি বা চারটি উত্তরের জন্য কত সময় ব্যয় করা উচিত, কত দ্রুত লিখবেন, কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শুরু করবেন, আইনি পরিভাষাগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, বানান কতটা শুদ্ধ হতে হবে, কোথায় কোন শব্দের ইংরেজি টার্মটা ব্র্যাকেটে উল্লেখ করবেন, ইংরেজি ধারাগুলো কীভাবে যুক্ত করবেন, কীভাবে কেস ল’ উল্লেখ করবেন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিলে আপনি সর্বোচ্চ নাম্বার সহজেই তুলতে পারবেন।
কৃতজ্ঞতা- আমাদের সময়
Discussion about this post