গাড়ি চুরির দায়ে কারাগারে যাওয়ার পর কুইন্সল্যান্ডের এক নারীকে সেখানে অন্তত দুই হাজার বার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়ান নিউজের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ৯০ এর দশকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই হিজরা নারী।
ওই নারী বর্ণনা দিয়েছেন কিভাবে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে পুরুষ বন্দিদের সঙ্গে একই কারাগারে থাকার কারণে।
সময়টা ৯০ দশকের মাঝামাঝি। গাড়ি চুরির দায়ে কারগারে যেতে হয়েছিল মেরিকে (আসল নাম পরিবর্তিত)। শাস্তি শোনার পর জেল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করেছিলেন তাকে যেন পুরুষদের সঙ্গে এক সেলে রাখা না হয়।
তবে ওই কথায় কান দেয়নি কুইন্সল্যান্ড কারগার কর্তৃপক্ষ। যার ফলে তার ঠাঁই হয়েছিল পুরুষদের সেলেই। কারগারে রিসেপশনে পা দিয়েই মেরি বুঝে গিয়েছিলেন কারাগারের সেলে তাকে বেশ খানিকটা লড়াই করতে হবে।
আশপাশের লোহার গারদ থেকে উঁকি মারা চোখগুলোর তার প্রতি কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টি ছুড়ে দিচ্ছিল। কিন্তু জেলের অভিজ্ঞতা ঠিক অতটা ভয়ানক হবে সেটা বোধহয় নিজের দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মেরি।
ওই নারী জানান, সেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মেরির পুরুষ সহবন্দিরা জোর করে তার পোশাক খুলে দেয়। শুরু হয় যৌন নির্যাতনের পালা। এর পর থেকে প্রতি দিন অন্তত এক বার করে ধর্ষিত হতে হয়ে তাকে।
ওই নারী বলেন, প্রতিদিন অমানসিক এই অত্যাচারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বার বার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। টানা চার বছর চলেছে এই নারকীয় নির্যাতন। অন্তত ২০০০ বার ধর্ষণ করা হয় আমাকে।
সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়েছেন ওই হিজরা নারী। এখনও সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অজানা আতঙ্কে শিউরে ওঠেন তিনি।
Discussion about this post