নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি ও মামলা প্রত্যাহার না হলে ফের আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় সংগঠনটির আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, ফারুক আহমেদ, রাশেদ খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণা এ মাসের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে দাবি জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, এখন পর্যন্ত কোটা বাতিল নিয়ে তারা কোনো লিখিত নির্দেশনা পাননি। এমনকি এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের যে কথা ছিল তা-ও হয়নি। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হয়রানির জন্য অজ্ঞাতনামা পাঁচটি মামলা হয়েছে। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের খুঁজে বের করে এসব মামলা হতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতি দেয়া হোক। সম্প্রতি তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। এ ধরনের হুমকি দেয়া হলে ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না।
কিছু মিডিয়া আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে এর আগে একটি পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ ছেপে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০ এপ্রিল আরেকটি পত্রিকা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এটি বিকেলের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারে দাবিতে বেশ কিছুদিন সারা দেশে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রথা তুলে দেয়া হবে বলে সংসদে ঘোষণা দেন। এরপরের দিন তারা আন্দোলন তুলে নেন।
Discussion about this post