নিজস্ব প্রতিবেদক: গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, দলটির দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না। তিনি বলেন,এটা তো স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, তারা শপথ গ্রহণ করবেন না।
বৃহস্পতিবার বিকেল রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ফ্রন্টের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি মহাসচিব ও ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রহসন নির্বাচন হয়েছে- এর প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থী ও ভুক্তভোগিদের উপস্থিতে গণশুনানি। এই গণশুনানি সারাদিন চলবে। গণগুনানির স্থানটা আপনাদের পরে জানানো হবে।’
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত জাতীয় সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপটা পরে হবে। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে ঐক্যফ্রন্টের যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখানে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন, অনেকে আহত-নিহত হয়েছেন। প্রার্থীরাও আহত হয়েছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে চা চক্রের যে আয়োজন, আমরা মনে করি এটা একটা পরিহাস মাত্র। এই চা চক্রে যাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।
বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রুত চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ শপথ নেয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। এমনকি নিজের পুরনো দল আওয়ামী লীগে ফেরার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন সুলতান মনসুর।
Discussion about this post