নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির সময় পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব-৪। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ জুলাই) ভোরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয় বলেও জানায় র্যাব।
আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল মো. মমিনুর রহমান আশুলিয়া থানায় হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া অপর তিন জন হলেন, আবদুল হামিদ (মাইক্রোবাস চালক), ওয়াহেদ ও ওয়াজেদ শেখ।
ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, ২২শে জুলাই রাতে জামগড়ায় নুর মেডিকেল হল নামে আমার ওষুধের দোকানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। পরে গভীর রাতে দাবি করা বাকি টাকা নিতে আসার কথা জানায় তারা।
ফলে বিষয়টি আশুলিয়ার নবীনগর র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এ বিষয়টি অবহিত করি। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অপেক্ষা করতে থাকে। চাঁদা নিতে এলে র্যাব তাদের হাতেনাতে আটক করে।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন বলেন, আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করি। এরমধ্যে আশুলিয়ার থানার একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র , জাল টাকা, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬ এটিএম কার্ড পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি বিষয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার সর্দার মারুফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অপরাধীর আসল পরিচয় তিনি অপরাধী। আটক পুলিশ সদস্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post