ডেস্ক রিপোর্ট
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তালাক দেওয়া নববধূকে ফের বৌয়ের মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলেছেন বর।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) পরিবারের সিদ্ধান্তে আবারও তাদের বিয়ে হয়।এর আগে রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষের পর রাতেই দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, রোববার (২৪ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজন। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চাইলে কনে পক্ষের লোকজন দিতে না চাইলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনে পক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের মিঠু মিয়া জানান, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে বারবার শুধু মাংস চাচ্ছিলেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি হয়। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানেই বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করার কারণে নববধূকে তালাক দেন বর।
কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই রাতে দুপক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে বিচ্ছেদের পরের দিন সোমবার ফের নববধূর সঙ্গে সবুজের বিয়ে হয়।
জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানি গ্রামের রহিম আলীর ছেলে প্রবাসী সবুজের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার এক তরুণীর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।সম্পতি সবুজ দেশে ফিরলে রোববার (২৪ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেওয়ার দিন ছিল।
Discussion about this post