ডেস্ক রিপোর্ট
শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের অভিযোগে করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
রোববার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৭ এ পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা পৃথক দুই মামলায় এ চার্জশিট দাখিল করেন।
সূত্রে জানা গেছে, আপন জুয়েলার্স বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও পৌনে আট হাজার পিস ডায়মন্ড কিনতে গিয়ে ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। এতে কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব অর্থপাচার করা হয়।
২০১৭ সালে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় একযোগে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা থেকে ৫৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনা ও সাত হাজার ৭৪৩ পিস ডায়মন্ড জব্দ করা হয়।
ওই বছরের ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি, ধানমন্ডি থানায় একটি, রমনা থানায় একটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আপন জুয়েলার্স অলংকার আমদানির বিপরীতে বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
Discussion about this post