আদালতে বিচারাধীন মামলার একটি বড় অংশ হচ্ছে জমি-জমা সংক্রান্ত। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও।
আদালতে বিচারাধীন মামলার একটি বড় অংশ হচ্ছে জমি-জমা সংক্রান্ত। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও।
অনেকেই তার নিজের জমি থেকে দখলচ্যূত হন। যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি তার জমি থেকে দখলচ্যূত হন তবে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করে তার দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এছাড়া সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনানুযায়ীও তিনি আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার পেতে পারেন।
আইনে বলা আছে, যথাযথ আইনগত পন্থা ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি স্থাবর সম্পত্তি (জমিজমা ইত্যাদি) থেকে দখলচ্যূত হন, তবে তিনি অথবা তার মাধ্যমে দাবীদার কোনো ব্যক্তি মামলার দ্বারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
একই সম্পত্তি নিয়ে যদি অপর কোনো ব্যক্তি মামলা করতে চায় তবে তাতে কোনো বাধা নেই। কারণ নিজের স্বত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তার দখল পুনরুদ্ধার করার জন্য কোনো ব্যক্তি কতৃক মামলা দায়ের করার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
তবে এই ধারা অনুসারে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না। এই ধারা অনুসারে দায়েরকৃত মামলায় প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপীল করা যাবে না, অথবা তেমন কোনো আদেশ পুনর্বিবেচনার কোনো অনুমতিও দওয়া যাবে না।
সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ১০ ধারায় বলা আছে, সুনিদিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তির দখলের অধিকারী ব্যক্তি দেওয়ানি কাযবিধিতে নিধারিত পন্থায় এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
এ ধারা অনুসারে একজন জিম্মাদারও মালিকের স্বাথে সম্পত্তির দখল পাওয়ার জন্যে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।
Discussion about this post