জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি ১৫৮ পৃষ্ঠার। শনিবার ওই রায় স্বাক্ষরের পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট দফতর তা প্রকাশ করে। গত ১ আগস্ট ৩ বিচারকের বেঞ্চ সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া ওই রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে মত দেন। তবে ওই বেঞ্চের প্রিজাইডিং বিচারক বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন তাতে ভিন্নমত পোষণ করেন।
এ রায়ের পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি দেখে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন নিবন্ধন বাতিল করলে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অধিকার হারাবে জামায়াত। তবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনায় কোনো সমস্যা হবে না।
এর আগে ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ এবং বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেঙ ২৪ নম্বর বিচারকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এই রায় দেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বৈধতার প্রশ্নে করা রিট আবেদনের ওপর এ রায় দেয়া হয়। ১২ জুন দুপক্ষের শুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়।
গত ১০ মার্চ জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। এরপর বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এর উপর শুনানি হয়।
Discussion about this post