অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেল সুপার জানান, শফিক রেহমানের জামিনসংক্রান্ত কাগজপত্র সোমবার কারাগারে পৌঁছায়। তা যাচাই বাচাই শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ সময় কারা ফটকে ডানপন্থী এ সাংবাদিকের স্ত্রী তালেয়া রেহমান ও ধানের শীষের সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত সায়ন্ত উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জামিনে মুক্তিলাভের পর শফিক রেহমানকে সরাসরি এনে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল জানান, ‘মুক্তি পেলেও গুরুতর অসুস্থ শফিক রেহমান। স্ত্রীসহ তিনি সরাসরি বারডেম হাসপাতালে আসছেন। সেখানেই আজ তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হবে।’
গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ মামলায় গত ৭ জুন শফিক রেহমানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করে জামিন চান শফিক রেহমান। এ মামলায় হাইকোর্টের জামিনের আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা সাংবাদিক শফিক রেহমানের আপিলের অনুমতির (লিভ টু আপিল) আবেদন ১৭ জুলাই মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে সেসময় আপিলের সারসংক্ষেপ শফিক রেহমানের আইনজীবীদের তিন সপ্তাহের মধ্যে এবং রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই আদেশে শফিক রেহমানের যথাযথ চিকিৎসা দিতে এবং প্রয়োজন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
Discussion about this post