খাইরুল ইসলামঃ
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারির বিষণ্ণ এক বিকেল। দুপুরের টক শো শেষ করে খোশ মেজাজেই বাসায় সময় কাটাচ্ছিলেন সিকান্দার আলী। হঠাৎ বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সিকান্দার সাহেবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল পুলিশ। পরে জানলেন, টক শোতে সমালোচনা করতে গিয়ে আদালত অবমাননা জনিত কারণে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মিডিয়ার বদৌলতে আদালত অবমাননা (Contempt of court) খুব পরিচিত এক শব্দ। আদালত প্রদত্ত যে কোন রায় বা আদেশের বিরুদ্ধাচারণই আদালত অবমাননার শামিল।
কখন আদালত অবমাননা হয়-
১/ আদালতের আইনী আজ্ঞা অমান্য করা
২/ প্রদত্ত আদেশে সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হওয়া
৩/ বিচারকদের অসম্মান জানানো
৪/ অসদাচরণ করে কোন চলমান মামলার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করা
৫/ ফেয়ার ট্রায়াল (Fair Trial) বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন প্রকাশনা বের করা
আদালত অবমাননা প্রমাণকরণ
১/ যে কোন আইনী আদেশ/আজ্ঞা ছিল
২/ উক্ত আজ্ঞা/আদেশ অবমাননাকারীর জানা ছিল
৩/ উক্ত আজ্ঞা মেনে চলার সামর্থ্য অবমাননাকারীর ছিল
৪/ কিন্তু অবমাননাকারী তা মানতে ব্যর্থ হয়েছেন
এই চারটি বিষয় প্রমাণ করতে পারলেই বলা যাবে যে, কেউ আদালত অবমাননা কারী। বাংলাদেশে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত (The contempt of Courts Act, 1926) আইনটি খুব সম্প্রতি বাতিল হয়ে গেছে।
Discussion about this post