কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণ গেল তিন মানবপাচারকারীর। নিহতরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে কোরবান আলী (৩০), পৌরসভার কে কে পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (২৫) ও একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার মহেশখালীয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৫ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ২০টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল মহেশখালিয়া পাড়ার নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানব পাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। গোলাগুলিতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সায়েফ, কনস্টেবল মং (৪৩৭) ও শুককুর (৫১৭) আহত হন।
গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে গুলিবিদ্ধ তিনজন মারা যান। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, নিহত তিনজনই ১৫ জন রোহিঙ্গাকে পাচার মামলার পলাতক আসামি। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।




Discussion about this post