ঢাকা: ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাজ সুনির্দিষ্ট করে দিয়ে একটি আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২০ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
আইন লঙ্ঘন করে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ভিসা বা রিক্রুটিং কাজ পরিচালনা করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ডুয়েল ফাংশন করে ফেলে। তার কাজ হলো শুধু মানুষের টিকিট করে দেওয়া। কিন্তু রিক্রুটিং, অ্যাপয়মেন্ট, ভিসা নিয়ে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি হ্যান্ডেল করে। যার ফলে আইনগতভাবে তাদের ধরা যেত না এতদিন। কিন্তু এখন থেকে নিশ্চিত হবে যে ট্রাভেল এজেন্সি ভিসা বা রিক্রুট হ্যান্ডেল করতে পারবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির কাজ সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তারা শুধু ভিসা করবে।
তিনি বলেন, আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে—এরকম বিধান রাখা হয়েছে। এটা করা হয়েছে এ কারণে যে, অনেক সময় ট্রাভেল এজেন্সি রিক্রুটিং এজেন্সি হিসেবে কাজ করে, এতে আর করতে পারবে না। যদি করে তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। কারণ, রিক্রুটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেশন আলাদা।
অনুমোদন সাপেক্ষে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো দেশে-বিদেশে শাখা খুলতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের সংশোধনীতে ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন হস্তান্তর এবং শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আগে হস্তান্তরের কোনো বিধান ছিল না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে নিবন্ধনের দরখাস্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলো না করলে তা বাতিল হয়ে যেত। এখন প্রভিশন রাখা হয়েছে- দরখাস্ত করার পর ভ্যালিড কারণে ফলো করতে না পারেলে পরবর্তীতে জরিমানা দিয়ে আবার ছয় মাস পর্যন্ত সময় পাবে। একই সাথ মামলা নিষ্পত্তি করতে সিআরপিসি থাকবে।
Discussion about this post