নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন করে পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হলেন দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
ঘুষ লেনদেন ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেওয়া হলো। গত ২৩ মে ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন এনামুল বাছির। আগের ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন আমলে নেয়নি দুদক।
প্রসঙ্গত, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির। তবে তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু’দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। আর ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নজরে আসায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ঘুষ নয়, তথ্য পাচারের অভিযোগে বরখাস্ত বাসির: দুদক চেয়ারম্যান
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ডিআইজি মিজানের ঘুষের অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাসিরকে বরখাস্ত করা হয়নি, তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই তাকে গ্রেফতারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না দুদক। বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এনামুল বাসিরের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। অনুসন্ধানে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হবে।
ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের ধীরগতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান বস্তুনিষ্ঠ করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে অনুসন্ধান সঠিক পথেই এগুচ্ছে।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে দুদকের পরিচালক এনামুল বাসির বলেন, ফোনালাপের বিষয়টি ডিজিটাল কারসাজি। এটা গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে। সব কিছুর জন্য গণমাধ্যম দায়ী




Discussion about this post