নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান। জুয়া বা ক্যাসিনোয় অভিযান চালাতে গিয়ে ঢাকায় এর বিস্তারের রহস্য উদঘাটন করেছে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিনোদন জগতের অন্যতম খোরাক ক্যাসিনোর বিস্তার রাজধানীতে ঘটে নেপালি ৯ নাগরিকের হাত ধরে।
এরই মধ্যে অবৈধ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আলোচিত কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের মধ্যে ফকিরাপুলের ইয়াংমেন্স ক্লাবের খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ অন্যতম। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তারা একের পর এক ক্যাসিনো খুলে বসেন নগরীতে। বিভিন্ন ছোটবড় ক্যাসিনোতে রয়েছে তাদের অংশীদারিত্ব। তবে ক্যাসিনোর আসর নিয়ে অভিযান শুরু হলেও বিদেশি এসব নাগরিক এখনও রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
সর্বপ্রথম ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অবৈধ এ ব্যবসা শুরু হয়। অবৈধ এ ব্যবসার কর্ণধার নেপালের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী দীনেশ মানালি এবং রাজকুমার। এছাড়া, তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বিনোদ মানালি। নেপাল ও ভারতের গোয়ায় তাদের মালিকানায় ক্যাসিনো ব্যবসা রয়েছে।
পরবর্তিতে ২০১৬ সালে কলাবাগান ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও অজয় পাকরাল। এরপর একে একে রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তারা খুলতে থাকেন বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যাবসা।
বনানী আহমেদ টাওয়ারের ২ তলায় অবস্থিত ঢাকা গোল্ডেন ক্লাবে ক্যাসিনো চলতো নেপালি নাগরিক অজয় পাকরালের তত্ত্বাবধানে। এছাড়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো খোলেন নেপালি নাগরিক হিলমি।
দিলকুশা ক্লাবের ক্যাসিনো মালিকানায় আছেন নেপালি নাগরিক দীনেশ, রাজকুমার ও ছোট রাজকুমার। আর মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনোতে নেপালি অংশীদার রয়েছেন কৃষ্ণা। নেপালের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী দীনেশ ও রাজকুমারের আদি নিবাস নেপালের থামেলে।
ঢাকায় চাহিদা থাকায় নেপালি ক্যাসিনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ক্লাবে সরবরাহও করতেন দীনেশ ও রাজকুমার। অন্যদিকে, স্পট চালাতে বিভিন্ন জায়গায় মাসোহারা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন একসময় কাকরাইলের বিপাশা হোটেলের বয় জাকির হোসেন।




Discussion about this post