মিহির মিশকাতঃ এশিয়ার বৃহত্তম বার “ঢাকা আইনজীবী সমিতি”র নির্বাচনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ এর সাদা প্যানেল ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য’ এর নীল প্যানেল সভাপতিসহ ১৩টি পদে জয়ী হয়েছে।
শনিবার ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোন্দকার আব্দুল মান্নান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী গোলাম মোস্তফা খান ৪ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুর রহমান হাওলাদারকে পরাজিত করেন।
অন্যদিকে সাদা প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাধারণ মো. মিজানুর রহমান মামুন ৪ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে নীল প্যানেলের প্রার্থী হোসেন আলী খান হাসানকে পরাজিত করেন।
সাদা প্যানেলের বিজয়ী অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ ও লাইব্রেরী পদে এম মনিরুজ্জামান মনির এবং সদস্য পদে আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, সুমন মিয়া, মির্জা মো. জামাল হোসেন ও সিফাত নাহার সুমি।
অন্যদিকে নীল প্যানেলের বিজয়ী অন্যান্যরা হলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, সমাজ কল্যান সম্পাদক পদে এমএবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান এবং সদস্য পদে একতানদার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভূঁইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মো. মুকতাদির আহমেদ কাজল, মো. জাহেদ উল আলম জতি, মেহেদী হাসান বাদল, জেবুন্নেছা খানম জীবন, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই।
এর আগে ২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের দুইদিন ব্যাপী এই নির্বাচনে গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১৬ হাজার ১২৯ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ১১ জন আইনজীবী ভোট দেন। এরপর গত ১ মার্চ রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার সময় একজন বহিরাগত ভেতরে প্রবেশ করা নিয়ে আওয়ামী ও বিএনপি পন্থী আইনজীবী ও সমর্থকরা মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির সাবেক সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নানও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ভোটগণনা স্থগিত করা হয়।
পরে ভোট গণনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে শুক্রবার ১২টার দিকে নির্বাচনের প্রার্থী, সমিতির বর্তমান ও সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসে মতামত দেন। পরে আলাদাভাবে কমিশনের সদস্যরা বসে পুনরায় শনিবার ভোট গণনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সকাল ১১ টায় ভোট গণনা শুরু করে নির্বাচন কমিশন। রাত ১০টার দিকে তা শেষ হয়। এরপরই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে মাট ২৭টি পদের মধ্যে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করেন। যার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭টি জন এবং সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৭-২০১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে নীল প্যানল ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।
Discussion about this post