বাংলাদেশে দুই ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বৃটিশ নাগরিক তৌহিদুল রহমানকে মঙ্গলবার নয়; আগেই আটক করা হয়েছে বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান এবং মুক্তাদির রশিদ এর অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৮ বছর বয়সী তৌহিদুল লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসার পর তার বোন ও অসুস্থ মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছে। তৌহিদুলের বাড়ির কেয়ারটেকারের বরাতে আল জাজিরা জানায়, মে মাসের ২৮ তারিখে তৌহিদুলকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। সেদিনই এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে তৌহিদের বোন নাসিরা বেগম। পুলিশের ফাইলেও এই প্রমাণ পাওয়া যায়। ৩ই জুন বৃটিশ হাইকমিশনেও সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি পাঠান তিনি। তার বোন জানান, গত তিনমাস ধরে তৌহিদের অবস্থান কেউ জানতো না। পরে গত সপ্তাহে আরও দুইজন আসামির সঙ্গে মিডিয়ার সামনে তাকে নিয়ে আসে র্যাব। র্যাব জানায় তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তখনই তিনমাসের মধ্যে প্রথম তার দেখা পায় পরিবার। গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুই ব্যক্তি সাদেক আলি মিঠু (২৮) এবং আমিনুল মল্লিক (৩৫)। তাদেরকেও ভিন্ন তারিখে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এদেরকে নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে তৌহিদুলকে আগেই আটক করা হয়েছে এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে আমরা যা বলেছি সেটাই সত্য। অনেক সময়ই আসামিরা এমন বক্তব্য দিয়ে থাকে। এটা আসলে তাদের কৌশল। তারা নিজেরাই পরিবার থেকে পালিয়ে যায়।
Discussion about this post