খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় দলবেঁধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা বা ১টার দিকে এ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী তরুণী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন করেন।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতের নির্দেশে ১০ আগস্ট রাতে জিআরপি থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করে একটি মামলা করেন। মামলার নম্বর ০৩। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক ওসি ওসমান গনি পাঠান, এসআই নাজমুল হক ও অজ্ঞাত আরও তিন পুলিশ সদস্যকে।
এর আগে থানায় ওই তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়। ক্লোজড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- জিআরপি থানার ওসি ওছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ আগস্ট ওই তরুণী যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেল স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই তরুণী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর বিচারক তার ডাক্তারী পরীক্ষার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি আমলে নিয়ে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।
ঘটনার পর বুধবার ওসমান ও নাজমুলকে খুলনা রেলওয়ে থানা থেকে পাকশি রেলওয়ে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় তিন সদস্যের একটি কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।




Discussion about this post