জাহিদের আইনজীবী ব্যরিস্টার কামরুল ইসলাম হৃদয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায় “জাহিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪,২৫ এবং ২৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।মামলা নং ৩৯/২০২০।বর্তমানে তিনি থানা হাজতে আছেন”
এর আগে বিডি ল নিউজকে জাহিদের ছোট বোন তাসনিম জানান,রবিবার সারা রাত পুলিশ বাসায় হানা দিয়ে আমাদের দরজা,জানালা,এমনকি ছাদে উঠে ছাদের দরজা ভেঙে ফেলে অতঃপর সোমবার ভোর ৬ টায় গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক জাহিদুল ইসলাম হৃদয় কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর লেমশীখালী গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক মওলানা মঈনুল হক কুতুবীর পুত্র।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান”তিনি যেন কাউকেই পরোয়া করে না। তার লেখালেখিও সাংঘাতিক আপত্তিকর।’ পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালে মওলানা সাঈদীর কথিত চাঁদে আরোহনের সময় দ্বীপে জামায়াত-শিবির ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। সেই সময় প্রাণহানিও ঘটেছিল তিনজনের। সেই ঘটনার পর থেকে দ্বীপের জামায়াত-শিবির কিছুদিনের জন্য ঘাপটি মারলেও সম্প্রতি তারা দলে দলে দ্বীপে এসে পুনরায় একত্রিত হতে শুরু করেছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপে সরকার বিরোধী একটি চক্র কিছুদিন ধরে নানা কৌশলে কাজ করে আসছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়েই জাহেদুল ইসলাম হৃদয় নামের উক্ত যুবককে আইনের আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্ত কালে দেখা যায়, তিনি তার নামের ফেসবুক আইডিতে (Zahid Hridoy) যে সব পোস্টসহ লেখালেখি করেছে তা আপত্তিকর। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাও করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস জানান, দ্বীপে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লেখালেখি এবং নানাভাবে সরকার বিরোধী উস্কানির হোতা হিসাবে পরিচিত শিবির ক্যাডার জাহেদুল ইসলাম হৃদয় হচ্ছেন সরকারি গঠিত ত্রাণ বিতরণের স্বেচ্ছাসেবক কমিটির একজন নেতা। এমনকি গ্রেপ্তান হওয়া এই শিবির ক্যাডার জাহেদুল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গঠিত করোনাকালের ত্রাণ বিতরণের স্বেচ্ছাসেবক কমিটির লেমশীখালী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি। কমিটিতে ঢুকেই তিনি কৌশলে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও একাকার হয়ে গেছেন।
এমনকি রবিবার দিবাগত রাতে পুলিশ যখন জাহিদুলের ঘর ঘিরে ফেলে তখন সে কৌশলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও ডেকে নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে। তবে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
Discussion about this post