নিজস্ব প্রতিবেদক: পেট্রোবাংলা ও তিতাসের দুর্নীতি অর্ধেক কমলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া জ্বালানি খাতের দুর্নীতিরোধে দুদকের নেয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন উচ্চ আদালত।
আজ রবিবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে বেশি দামে এলএনজি আমদানির বিষয়ে বিইআরসির বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এরআগে গত ১০ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। আজ রিটের শুনানিতে উচ্চ আদালত বলেন, দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেন আইনি প্রক্রিয়া এবং জনস্বার্থ উপেক্ষিত না হয়।
এর আগে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ মার্চ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পক্ষে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানোর জন্য একটি প্রক্রিয়া চলছে। এর বিরুদ্ধেই রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
গণশুনানির শুরুতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আবাসিকে একচুলা ৭৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা, দুই চুলা ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৪০ টাকা, বাণিজ্যিকে ১৭ দশমিক ০৪ টাকার পরিবর্তে ২৪ দশমিক ০৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সার, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্পসহ অন্যান্য খাতেও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কোম্পানিটি প্রথমে গড়ে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও পরে সংশোধিত প্রস্তাবে ১০২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে।




Discussion about this post