বিডিলনিউজ: বিধিবিধান না মেনেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব অনুমোদন নেওয়ার রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মামলা করা হচ্ছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মহানগর পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৯৬ অনুযায়ী, রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের মামলা করার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের কথা বলা আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, দণ্ডবিধির কিছু ধারায় মামলা রুজু করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৯৬ ও ১৯৬-ক ধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমোদন গ্রহণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এসব ধারার ব্যত্যয় করে অনুমোদন ছাড়াই দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হচ্ছে। পরে তদন্ত পর্যায়ে অথবা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পরে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেন। ফলে আসামিরা সহজেই জামিন পাচ্ছেন ও বিচার-প্রক্রিয়ায় আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই আইনের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে সরকারের অনুমোদন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে প্রায় ১০০টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তি, সরকারবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করাসহ জেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক কোন্দলের কারণেও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।এভাবে বাছ-বিচার ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, এমন অভিযোগ তিনিও শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে অনুমোদন নেওয়া হলে এ রকম বাছ-বিচার ছাড়া মামলার সুযোগ থাকবে না। এ কারণেই আমরা কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছি, এভাবে যাতে আর মামলা করা না হয়।’ সূত্র:প্রথম আলো
Discussion about this post