নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত পাঁচ বছরেও রানা প্লাজা ধসে দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় এই খাতের ঝুঁকি আরো বেড়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির মতে, এ খাতের শ্রমিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর ট্রেড ইউনিয়ন এখনো শুধুই কাগজে-কলমে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে রানা প্লাজা ধস নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এমন মন্তব্য করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু সেটা ক্ষতিপূরণ নয়। প্রায় সাড়ে চার হাজার কারখানায় মাত্র ৬৩২টি ট্রেড ইউনিয়ন, সাড়ে ৮০০ পার্টিসিপেটরি আর ৫৭৩টি সেফটি কমিটি পোশাক শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করে টিআইবি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ৯ তলাবিশিষ্ট রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ঢাকা জেলা প্রশাসক অফিসে রক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত এবং এক হাজার ১১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৯ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ১৩৬ জন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাবনার বেড়ায় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক আবদুস সোবহান মারা যান।
ঘটনার পরের দিন সাভার থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ খান অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার হেলাল উদ্দিন ইমারত নির্মাণ আইনে ১৩ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেন। সোহেল রানাসহ কয়েকজন আসামি কারাগারে আছেন।
Discussion about this post