মানবাধিকার শব্দটি মানব(মানুষ) এবং অধিকার এ দুটি শব্দের সমন্বিত রূপ। এই অধিকারটা মানব পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সার্বজনীন,সহজাত, হস্তান্তরযোগ্য এবং অলঙ্ঘনীয়।
মানবাধিকার এমন একটি অধিকার যা একজন ব্যক্তির মর্যাদা ও সম্মানের সাথে জড়িত, যা মনুষ্য সমাজের নৈতিক মানদন্ডকে প্রকাশ করে। এটি কেবলমাত্র একজন ব্যক্তির কর্মদক্ষতা বৃদ্বির জন্য নয়,গোটা বিশ্ব সমাজের মান-মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। সুতরাং, এটাকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব ব্যক্তির তো অবশ্বই সাথে বিশ্ব সমাজেরও।আর যেহেতু বিশ্ব সমাজের একেকটি অঙ্গ হলো একেকটি রাষ্ট্র সেহেতু প্রকৃতপক্ষে ঐ সুমহান দায়িত্বটি অর্পিত হয় রাষ্ট্রের ওপর। প্রত্যেকটা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রয়েছে নিজস্ব আইন-কানুন আর রাষ্ট্র নিজ প্রয়োজনেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়, অধিকার রক্ষা সর্বোপরি অপরাধ দমনের জন্য আইন তৈরী করে আবার প্রয়োজনে এসব তৈরিকৃত আইনের পরিবর্তন ও করতে পারে। অপরাধের মাত্রা যদি বেড়ে যায় এবং ক্ষতির পরিমাণটা যদি অপূরণীয় হয়, তাহলে শাস্তির পরিমাণটা ও তেমন হওয়া উচিত।
ধর্ষণ এমন একটা অপরাধ যার ফল শুধু ঐ মেয়েটিই নয় বরং তার পুরো পরিবারকে বহন করতে হয়।মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান মৌলিক অধিকার হল বেঁচে (জীবন) থাকার অধিকার কিন্তু ধর্ষণের স্বীকার একটি মেয়েকে বেঁচে থেকে ও মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। বর্তমানে এই ঘৃন্য অপরাধের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে তা এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করবে যা সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। নারী অধিকার রক্ষার জন্য এই অপরাধের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে, এই দায়িত্বটা তাই রাষ্ট্রকেই পালন করতে হবে।
Discussion about this post